
নিজস্ব সংবাদদাতা :
নাইক্ষ্যংছড়ি’ উপজেলার ঘুমধুমের বড়ুয়া পাড়ায় জায়গা জমিন নিয়ে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ,ন্যায় বিচার নিয়ে শঙ্কিত প্রকৃত জমির খতিয়ান ভুক্ত মালিকরা।
মঙ্গলবার (২৩) ডিসেম্বর সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় ২৬৭ ঘুমধুম মৌজার বড়ুয়া পাড়ার ২৬ নং হোল্ডিং এর এক একর জায়গার আসল মালিকেরা হল বিমল বড়ুয়া,প্রবীন বড়ুয়া,কর্ণধর বড়ুয়া,প্রদীপ কুমার বড়ুয়া উভয় পিতা – বিরেন্দ্র বড়ুয়া।
জায়গার প্রকৃত মালিক প্রদীপ বড়ুয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, কল্পনা বড়ুয়া,মাদল বড়ুয়া ও তনু বড়ুয়াসহ অভিযুক্তরা বহিরাগত তাদের থাকার যায়গা না থাকায় আমরা তাদেরকে উক্ত যায়গায় কিছুদিন থাকতে দিয়েছিলাম। এখন সেই যায়গা তাদের দাবি করে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত হুমকিসহ উক্ত যায়গা দখলের পায়তারা করে আসছে। আমাদের খতিয়ানভুক্ত যায়গায় তাদের কুনজর পড়ায় আমরা তাদের থেকে পরিত্তান পেতে আদালতের সরাপন্ন হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমার নিজস্ব খতিয়ান ভুক্ত যায়গা নিয়ে মামলা চলমান থাকায় আদালত নির্ধারণ করবে যায়গার আসল মালিকানা কার,তবে এখানে আওয়ামিলীগ বিএনপি টেনে আনার কোন অর্থই হয়না।স্থানীয় হেমলাল বড়ুয়া ও সুব্রত বড়ুয়া তারা সহজ সরল এবং সামাজিক ব্যক্তি এদের দ্বারা আমাদের এলাকায় মুসলিম, হিন্দু ও বড়ুয়া সম্প্রদায়ের কোন ব্যক্তি ক্ষতির সম্মুখীন হয়নাই। আমাদের এলাকায় তাদের নামে কোন বদনাম আছে এমন কোন নজির আমরা শুনিনাই।
এদিকে ঘুমধুম ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উপন্দ্র লাল চাকমার ভাতিজা পুলিশ কনেষ্টেবল অনিল চাকমার প্রভাব কাটিয়ে স্ত্রী রেনি বড়ুয়া বেপরো হয়ে উঠার বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।
উক্ত যায়গা নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে বিভেদ ছড়াচ্ছে রেনি বড়ুয়া ও তার স্বামী পুলিশ কনেষ্টবল অনিল চাকমা এমনটাই অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। অনিল চাকমা একজন সরকারী কর্মচারী হয়েও মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় এলাকায় তৈরী হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রীয়া। তার বিগত বছরগুলোতে আ’লীগ নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও আলিশান বাড়ি দৃশ্যমান বলে জানান স্থানীয়রা।
একাধিক স্থানীয়রা জানান চলমান মামলার ২৬ নং হোল্ডিং এর এক একর জায়গার আসল মালিকেরা হল বিমল বড়ুয়া,প্রবীন বড়ুয়া,কর্ণধর বড়ুয়া,প্রদীপ কুমার বড়ুয়া উভয় পিতা বিরেন্দ্র বড়ুয়ার সম্পত্তি।
স্থানীয়রা আরো বলেন, উপরোক্ত ব্যক্তিদের নামিয় সম্পত্তি যোর করে আত্মসাৎ করতে উঠে পড়ে লেগেছে একই এলাকার অভিযুক্তরা হল,ভুট্টু বড়ুয়া (৩০),পিতা: মৃত অরবিন্দ বড়ুয়া, ২। সন্তোষ বড়ুয়া (৬০),পিতা: বিনু মোহন বড়ুয়া। জিটু বড়ুয়া (৩৩) ৩ পিতা:সন্তোষ বড়ুয়া ৪। জীবন হরি বড়ুয়া (৬৫) পিতা: বিনু মোহন বড়ুয়া ৫। কল্পনা বড়ুয়া (৫০) স্বামী: মৃত অরবিন্দ বড়ুয়া৬। রেনি বড়ুয়া (৩৫)স্বামী: অনীল চাকমা ৭। মুন্নি বড়ুয়া (২২)স্বামী: সুকেল বড়ুয়া ৮। শেফালী বড়ুয়া (৩৯) পিতা: মনহরি বড়ুয়া ৯। নেপালী বড়ুয়া (৩৭)
স্বামী: সুভাষ বড়ুয়া সর্ব সাং- উত্তর ঘুমধুম বড়ুয়া।
ঘুমধুম ইউপি’র সাবেক মেম্বার সুব্রত বড়ুয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, উক্ত যায়গা জমিন নিয়ে তারা দুই পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা চলমান আছে তাই আমরা এসব বিষয়ে কোনদিন কথা বলি নাই , অভিযুক্তরা আমাকে ও আমার বড় ভাই সুমল বড়ুয়াকে যায়গা দখল নিতে দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছে বলে প্রফাগান্ডা ছড়াচ্ছে,তা প্রমান করে দেখাতে হবে যদি প্রমান করতে না পারে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে এমন মানহানিকর মন্তব্য করার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। অন্যথায় এ নিয়ে এলাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর ইকবাল এ প্রতিবেদককে বলেন, পুলিশ অভিযোগ ছাড়া কোন বিষয়ে তদন্ত করে না। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহন করে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সার্ভেয়ার ইব্রাহীম খাঁন সরজমিন এসে স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সীমানা নির্ধারণ করে দিলেও তা উপেক্ষা করে যায়গা দখল করতে মরিয়া অভিযুক্তরা এমনটাই বলছে স্থানীয়রা।