
মাহমুদুল হাসান :
সীমান্ত জনপদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন অবশেষে বাস্তব রূপ পেতে চলেছে। এলাকাবাসীর বহু প্রত্যাশার “তুমব্রু উচ্চ বিদ্যালয়” গড়ে তোলার মহান উদ্যোগ ফলপ্রসূ হওয়ার পথে।
সর্বজনের আন্তরিক সহযোগিতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর ইকবাল। এসময় এলাকাবাসীর উৎসাহ, আনন্দ ও তুমব্রুর ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী মনোভাব পুরো পরিবেশকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আগামী ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহনেওয়াজ চৌধুরী বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ৫০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করে সদস্য তালিকায় প্রথম নাম লেখান।
তিনি বলেন-“তুমব্রু এলাকার মানুষের বহু বছরের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে। সকলের ঐক্য, ত্যাগ, শ্রম, মেধা ও মূল্যবান সময়ের বিনিময়ে যে মহৎ উদ্যোগ চলছে, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক মূল্যবান সম্পদ হয়ে থাকবে। সীমান্ত অঞ্চলের অনেক তরুণ যারা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকে, একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের সঠিক পথে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রাখবে”।
এছাড়াও তিনি জানান, “সীমান্ত জনপদের জন্য একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি ছিল এবং এই বিদ্যালয় শিক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে”।
অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরব্বি আবুল কাসেম, খায়রুল বশর (অবসরপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়, দিল মোহাম্মদ (সাবেক) মেম্বার, রেজাউল করিম সহকারী শিক্ষক দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পল্লী চিকিৎসক মোহাম্মদ হোসাইন, ফখর উদ্দিন,
জাহেদ আলম প্রধান শিক্ষক উখিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ,
শাহজাহান, উসমান, ও ইমরানসহ এলাকার অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সকলের কল্যাণ, বিদ্যালয়ের সফলতা ও এলাকার অগ্রগতির জন্য বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন বিশিষ্ট আলেম হাফেজ মাওলানা আমান উল্লাহ বুলবুল।
তুমব্রু উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকার শিক্ষার আলো আরও উজ্জ্বল হওয়ার প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। জনগণের একতা, সহযোগিতা ও আন্তরিকতায় নির্মিত এই বিদ্যালয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আশার বাতিঘর হয়ে উঠবে—এমন বিশ্বাস সবার মধ্যে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য যে, এলাকার বৃহত্তর স্বার্থে যারা আর্থিকভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের এ অব্যাহত সহযোগিতা ও আন্তরিকতা বিদ্যালয় নির্মাণকাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপস্থিত সকলেই।