নিজস্ব প্রতিবেদক :
উখিয়ার ১৩ ও ১৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বন বিভাগের জায়গা ঘিরে গড়ে উঠেছে শত শত অবৈধ দোকান। আর এসব দোকান ঘিরে চলছে অবৈধ অর্থের রমরমা বাণিজ্য। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দিনদুপুরে এসব বাণিজ্য চলে আসলেও প্রশাসন রয়েছে নিরব ভূমিকায়।বর্তমানে অবৈধভাবে দোকানপাট ও বাজার গড়ে তোলে জায়গাগুলো জবরদখল করে ফেলেছে ৩০ /৪০ জনের একটি রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।
বন বিভাগের জায়গায় বসানো হয়েছে মুদিদোকান, ফার্মেসি, কাঁচা বাজার, হোটেল, লাকড়ি দোকান, গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান, চায়ের দোকান, মাছ-মাংসের আড়ত, কাপড়, মোবাইল, জুয়েলার্সসহ বিভিন্ন রকমের দোকান। এসব দোকানের কোনোটিরই নেই বৈধ ট্রেড লাইসেন্স বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন। এসব দোকানের মাসিক ভাড়া ৩-৫ হাজার টাকা। এই বিপুল অর্থের একটি টাকাও রাজস্ব পায়না সরকার। পুরাটাই লুটপাট করে চলে যাচ্ছে দখলবাজদের পকেটে।
বনবিভাগের তথ্য অনুয়ায়ী ১৩ ক্যাম্পে জবর দখলকারীরা হলেন, মৃত ইসলামের ছেলে আলী আকবর,মৃত ওলামিয়ার ছেলে শমশুল আলম, জাফর আলম জনু, আলি আকবর, মৃত নজুমিয়ার ছেলে সরোয়ার, মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে শাহজাহান, মৃত কালামিয়ার ছেলে আব্দু রহিম, মোস্তাকিমের ছেলে মৌলভী হামিদ, হাজী মোঃ হোসেনের ছেলে জয়নাল মেম্বার, মৃত দুদু মিয়ার ছেলে সোনা মিয়া,মৃত লাল মিয়ার ছেলে শেখ আলম, রফিক, বাবুল,সেকান্দর, নুর মোহাম্মদ, জাহাঙ্গীর চৌধুরী আলী মিয়া,জয়নাল,।
১৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জবর দখলকারীরা হলেন, মৃত আব্দু শরিফের ছেলে, নুরুল বশর, খায়রুল বশর, নুরুল আবছার, নুরুল আমিন, নুরুল হাকিম। মৃত শেখ হাবিবের ছেলে সোহেল, মৃত নজু মিয়ার ছেলে আলমগীর মৃত আবুলের ছেলে বাদশা মিয়া, মৃত বক্তার আহাম্মদের ছেলে ফরিদ, লাম মিয়ার ছেলে আবুল কালাম, ছব্বির আহাম্মদের ছেলে কেফাইতুল্লাহ, মৃত ইসলামের ছেলে আলী আকবর, মৃত কবির আহাম্মদের ছেলে নুর আলম, মৃত গফুরের ছেলে আব্দু রশিদ, ছৈয়দ আকবর, গফুর উদ্দিন, আলম, নুর আহাম্মদ।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন,দখলকারীদের বিরুদ্ধে ক্যাম্প প্রশাসনকে বনবিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্প প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে অভিযান চালানো হবে।