1. info@channelukhiya.com : চ্যানেল উখিয়া : চ্যানেল উখিয়া
  2. info@www.channelukhiya.com : চ্যানেল উখিয়া :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বিজিবির অভিযানে ৮ হাজার ইয়াবা উদ্ধার—মালিক ফারুক ও মিজান সোশ্যাল মিডিয়ার ২২ হাজার গায়েবের তথ্য ভিত্তিহীন উখিয়ার ধামনখালীতে ৫০ হাজার ইয়াবা ছিনতাই—ছৈয়দুল হক ও হেলালের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা চেয়ারম্যান এম,গফুর উদ্দিন চৌধুরী’কে সাউথ এশিয়ান সোশ্যাল কালচারাল ফোরামের সম্মাননা স্মারক প্রদান পালংখালী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যক্রম বন্ধ, ব্যবসায়ীদের দাবি দ্রুত নির্বাচন কক্সবাজারে দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন নাইক্ষ্যংছড়িতে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী সাচিং প্রু জেরীর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু কুতুপালং বাজারে স্বর্ণ-বন্ধক জালিয়াতির অভিযোগে সমিতির তীব্র প্রতিবাদ পালংখালীতে বর্মায়া মোজাম্মেল–খালেদ চক্রের রমরমা ইয়াবা ব্যবসা, এলাকায় চরম উৎকণ্ঠা কুতুপালং বাজার সমিতির নির্বাচনে ভোটারদের আনারস বিতরণ করে আলোচনায় প্রার্থী মোহাম্মদ আলী

ক্যাম্পে সিএনজি সিন্ডিকেট: অনিয়ম-দুর্নীতিতে রোহিঙ্গা চালকদের রাজত্ব

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

 

*এপিবিএন’র মাসোহারা বাণিজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়রা

এম এ সাত্তার আজাদ,
স্টাফ রিপোর্টার

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সিএনজি পরিবহন খাতে ভয়াবহ অনিয়ম-দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। আরআরআরসি কর্তৃক সীমিতসংখ্যক অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও এপিবিএন যোগসাজশে অনুমোদনহীন শতাধিক সিএনজি অবৈধভাবে চলাচল করছে—যার অধিকাংশের চালক রোহিঙ্গা এবং মালিকানাও রোহিঙ্গাদের।

ক্যাম্প-১১, ১২ ও ১৮ নং ক্যাম্পে আরআরআরসি থেকে অনুমোদিত সিএনজি রয়েছে মাত্র ১১টি। কিন্তু বাস্তবে পুলিশ ম্যানেজ করে প্রতি মাসে ১৫,০০০–৩৫,০০০ টাকা উৎকোচ দিয়ে ২৮ থেকে ২৯টি সিএনজি চলাচল করছে।এদের মধ্যে রোহিঙ্গা ড্রাইভার এবং রোহিঙ্গা মালিকানাধীন সিএনজি রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায়। ক্যাম্প-১২ এর বাসিন্দা রোহিঙ্গা আলম ও ইয়াছিন—এই দুই জনের মালিকানাধীন ৯টি সিএনজি নিয়মিত চলছে। অভিযোগ রয়েছে, আলম বাঙ্গালী মেয়েকে বিয়ে করে অবৈধভাবে স্থানীয় পরিচয়ে বসবাস করলেও তার কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র সন্ধান পাওয়া যায়নি।

অনুমোদনহীন যানবাহনেই রমরমা বাণিজ্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিরাজমান সূত্র মতে, আরআরআরসি অফিসের অনুমতি বাতিলের পরও কিছু সিএনজি এপিবিএনকে মাসোহারা দিয়ে চালু রেখেছে। এমনকি নাম্বার প্লেটবিহীন (অনটেস্ট) সিএনজিও দেখা যাচ্ছে রোহিঙ্গা বাজারের রাস্তায়।এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি, অস্ত্র- মরণ নেশা পাচার, মানবপাচারসহ নানান অপরাধ চক্রের কার্যক্রম সহজ হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

২০২২ সালের ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাহী কমিটির ১৪ নং সিদ্ধান্তে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল—শর্তসাপেক্ষে সীমিতসংখ্যক সিএনজি চলবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা নিয়ন্ত্রণ করবে।কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়—এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এমন কি অনুমোদনের কপি জালিয়াতির মাধ্যমে ও এপিবিএনকে মাসোহারা দিয়ে অনুমতি ছাড়ায় চলাচল অবাধে সিএনজি রোহিঙ্গারা অবৈধ উপায়ে সিএনজি কিনে নিজে চালানো বা চালানো করানো

স্থানীয়দের জীবনযাত্রার উপর বিরূপ প্রভাব প্রভাব তৈরী হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় চালক জানান —রোহিঙ্গা ড্রাইভাররা অবৈধ সুবিধা নিয়ে কম ভাড়ায় গাড়ি চালাচ্ছে। এতে আমরা কর্মহীন হচ্ছি। বিভিন্ন সময় স্থানীয় ড্রাইভার দের উপর নেমে আসে অপহরণের মত ঘঠনা। চাঁদাবাজি ও ঘুষের টাকায় অপরাধীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বাড়ছে উদ্ভেগ জনকহারে । ক্যাম্প এলাকা পরিণত হচ্ছে অপরাধের অভয়ারণ্যতে।

ক্যাম্প-১১,১২,১৮ তে ২৮-২৯টি সিএনজি চলাচল করছে, যেখানে আরআরআরসি মহোদয়ের অনুমতি রয়েছে ১০-১১টি সিএনজির। বাকি গুলো এপিবিএন পুলিশ ম্যানেজ করে চলাচল করছে, যাদের অধিকাংশ সিএনজি চালক ও মালিক রোহিঙ্গা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই বিষয়ে ৮ এপিবিএন এর ভারপ্রাপ্ত সিও জনাব রিয়াজ উদ্দিন ও ক্যাম্প-১২,১৮ এর ক্যাম্প ইনচার্জ জনাব মিনহাজ উদ্দিন মহোদয়ের বক্তব্য জানতে চাইলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে নিশ্চিত করেন।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে যে সব শঙ্কা তৈরি হচ্ছে তা হল….
➤পুলিশের মধ্যে অবৈধ আয় করার প্রবণতা স্থায়ী হয়ে যেতে পারে যা এই জনপদের বড় একটি চ্যালেন্জ তৈরি হচ্ছে।
➤স্থানীয় ও রোহিঙ্গা অপরাধী গোষ্ঠীরা ক্যাম্পের পরিবহন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অপরাধের স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠিত করছে।
➤ভবিষ্যতে ক্যাম্প ও হোস্টের আইনশৃংখলা মারাত্মকভাবে অবনতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছ।

দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ও সমাধানে ক্যাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান…
৮ ও ১৪ এপিবিএন এর আওতাধীন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সরকারি নীতিমালা বহির্ভূত সিএনজি গাড়ি ব্যাপকভাবে বেড়েই চলেছে। অবিলম্বে সমাধান না করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মধ্যে অপরাধ কর্মকাণ্ড বেড়ে যাবে…

১। আরআরআরসি কর্তৃক অনুমোদন বিহীন সিএনজি এবং নীতিমালা বহির্ভূত রোহিঙ্গা চালক ও রোহিঙ্গা মালিকানাধীন সিএনজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
২। প্রশাসনের যে সকল অফিসার দূর্নীতির সাথে জড়িত, তদন্ত পূর্বক তাদেরকে শাস্তির আনা।
৩। আরআরআরসি কর্তৃক সিএনজি গাড়ি অনুমোদনের ক্ষেত্রে ৮ ও ১৪ এপিবিএন এর আওতাধীন ক্যাম্পে চলাচলের রোডম্যাপ আলাদা করা।
৩। ক্যাম্পে ইনচার্জ কর্তৃক নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করা। অভিযান পরিচালনা করার সময় জালিয়াতি বন্ধে আরআরআরসি কর্তৃক অনুমোদনের মেইন কপি নিশ্চিত করা, অন্যথায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৪। প্রতিটি সিআইসি অফিস ও চেকপোস্টে আরআরআরসি কর্তৃক অনুমোদিত সিএনজি গাড়ির অনুমোদন কপি সংগ্রহে রাখা।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট