নিজস্ব প্রতিবেদক:
উখিয়ার কুতুপালং ৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভিতর বনভুমির জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে বাজার।ওই বাজারে অন্তত ২ শতাধিক দোকান বসিয়ে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে অর্ধলাখ টাকা।এসব অবৈধ কর্মকান্ডে খোদ জড়িত রয়েছে নুরুল আলম নামের বহিরাগত এক ব্যক্তি।তার বাড়ি উখিয়ার কোর্টবাজার হলেও ক্যাম্প-৭ অভ্যন্তরে বসবাসরত স্থানীয় আমির হোসেনের এক কন্যা’কে বিয়ে করে গড়ে তুলেছে অপরাধ কর্মকান্ডের আখড়া।এই নুরুল আলম দুর্ধষ রোহিঙ্গা আক্তার ও আবছার কে নিয়ে গড়ে তুলেছে আলাদা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নামে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। শুধু তাই নয়,নুরুল বনভুমির জায়গায় বৈদ্যুতিক মিটার বসিয়ে রোহিঙ্গাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে আরও অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ বনভুমি এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্বেও কিভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে জনমনে।কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের উখিয়া সদর বনবিটের আওতাভুক্র বনভুমির জায়গা জবর দখল করে অবৈধ বাজার গড়ে তোলা,নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বৈদ্যুতিক মিটার বসিয়ে রোহিঙ্গাদের সাইড লাইনে সংযোগ প্রদান,আবার রোহিঙ্গাদের টাকার বিনিময়ে পানির লাইন সংযোগ সহ বহুমুখী অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে এই সিন্ডিকেট। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন তদারকি বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।নুরুল আলমের এহেন অপরাধ কর্মকান্ডের সহযোগিতায় রয়েছে সশস্ত্র রোহিঙ্গা গ্রুপের আরসা ও আরএসও’র সদস্যরা।তাদের অনৈতিক সহযোগিতায় এসব কর্মকান্ড দিব্যি চালিয়ে গেলেও ক্যাম্প প্রশাসনের কার্যকর কোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেই।
উখিয়া সদর বনবিট কর্মকর্তা মো:আবদুল মান্নান এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন,বনভুমির জায়গায় অনুমতি ব্যতিরেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া অবৈধ। বিদ্যুৎ বিভাগ হয়তো অনৈতিক উপায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে।খতিয়ে দেখা হবে।
স্থানীয় সচেতন মহল ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প-৭ অভ্যন্তরের বাজার যেনো খারাপ প্রকৃতির মানুষ অপরাধ কর্মকান্ডের নিরাপদ আখড়া।উক্ত বাজার উচ্ছেদে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।