1. info@channelukhiya.com : চ্যানেল উখিয়া : চ্যানেল উখিয়া
  2. info@www.channelukhiya.com : চ্যানেল উখিয়া :
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বিজিবির অভিযানে ৮ হাজার ইয়াবা উদ্ধার—মালিক ফারুক ও মিজান সোশ্যাল মিডিয়ার ২২ হাজার গায়েবের তথ্য ভিত্তিহীন উখিয়ার ধামনখালীতে ৫০ হাজার ইয়াবা ছিনতাই—ছৈয়দুল হক ও হেলালের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা চেয়ারম্যান এম,গফুর উদ্দিন চৌধুরী’কে সাউথ এশিয়ান সোশ্যাল কালচারাল ফোরামের সম্মাননা স্মারক প্রদান পালংখালী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যক্রম বন্ধ, ব্যবসায়ীদের দাবি দ্রুত নির্বাচন কক্সবাজারে দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন নাইক্ষ্যংছড়িতে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী সাচিং প্রু জেরীর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু কুতুপালং বাজারে স্বর্ণ-বন্ধক জালিয়াতির অভিযোগে সমিতির তীব্র প্রতিবাদ পালংখালীতে বর্মায়া মোজাম্মেল–খালেদ চক্রের রমরমা ইয়াবা ব্যবসা, এলাকায় চরম উৎকণ্ঠা কুতুপালং বাজার সমিতির নির্বাচনে ভোটারদের আনারস বিতরণ করে আলোচনায় প্রার্থী মোহাম্মদ আলী

উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে সক্রিয় সিন্ডিকেট, আলিশান বাড়িতে কাসিমের অপরাধের কারখানা

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৬৬ বার পড়া হয়েছে

 

  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা সাম্রাজ্য!

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ককসবাজার

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তপথে আবারও বেড়েছে মাদকের প্রবাহ। মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা এই অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে গড়ে তোলা হয়েছে এক ভয়াবহ ইয়াবা সিন্ডিকেট। অভিযুক্ত প্রধান হোতা রোহিঙ্গা যুবক আবুল কাসিম, যার রয়েছে ক্যাম্পে আলিশান দ্বিতীয় তলা বাড়ি, যা রীতিমতো মাদক ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

সিআইসি’র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

স্থানীয়দের অভিযোগ, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সিআইসি গাজী শরিফুল হাসাইন বিষয়টি জানলেও দীর্ঘদিন ধরে নিরব ভূমিকা পালন করেছেন। আবুল কাসিম এই বিলাসবহুল অবৈধ স্থাপনাটি নির্মাণ করেছেন সিআইসি’কে ম্যানেজ করেই। যদিও সিআইসি দাবি করেছেন, তাকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে এবং “খুব শীঘ্রই ওই ঘরটি ভেঙে দেওয়া হবে”।

ভয়ংকর কাসিম ও তার মাফিয়া নেটওয়ার্ক

অনুসন্ধানে জানা যায়, এই বাড়িটি শুধু তার বসবাসের স্থান নয়, বরং একটি মাদক চক্রের অপারেশন সেন্টার। এখান থেকেই পরিচালিত হয় আবদুল হালিম গ্রুপের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক পাচার পরিকল্পনা।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, মিয়ানমার থেকে নিয়মিত আসা ইয়াবার বড় চালান এই কাসিম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকছে বাংলাদেশে। এরপর সেগুলো ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

সিরাজ: পর্দার আড়ালের মাফিয়া

এই সিন্ডিকেটের অন্যতম কারিগর সিরাজ, যিনি ক্যাম্পের ভেতরে থেকেই দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার রয়েছে বিশাল নেটওয়ার্ক। ক্যাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে প্রতিনিয়ত বের করে দিচ্ছে মাদক। স্থানীয়রা জানান, সিরাজের নেতৃত্বে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাদক পাচার হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ইয়াবার লেনদেন

তদন্তে উঠে এসেছে, এই সিন্ডিকেট সদস্যরা হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ও ইমো ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক সরবরাহের নির্দেশনা পাঠায়। মাদকের আধুনিক রুট ব্যবস্থাপনায় সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগাচ্ছে তারা।

স্থানীয়দের উদ্বেগ

ক্যাম্পের একাধিক রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দ্রুত কাসিমের দ্বিতীয় তলা ঘরটি ভেঙ্গে না দিলে এটি পুরো ক্যাম্পের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। সেখান থেকে না শুধু মাদক কারবার হয়, বরং সেখানে গোপন অস্ত্র ও চক্রের সদস্যদের আস্তানাও গড়ে উঠেছে।

প্রশাসনের সক্রিয়তা দাবি

এ বিষয়ে ক্যাম্প ৮-এর দায়িত্বরত আর্ম পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আলম জানান, “সিআইসি অনুমতি দিলেই অবৈধ দ্বিতীয় তলা ঘরটি ভেঙে ফেলা হবে।”

সচেতন মহলের ভাষ্য, যতক্ষণ পর্যন্ত ক্যাম্পে থাকা এই মাদকচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানো না হবে, ততদিন সীমান্ত দিয়ে মাদক প্রবাহ বন্ধ হবে না।
সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট