নিজস্ব প্রতিবেদক :
উখিয়ার যুবক ছৈয়দ নুর’কে ডেকে নিয়ে অপহরণ, ৪ দিনের মাথায় মুখে স্কচটেপ লাগানো, হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহটি নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের গহীণ পাহাড় থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় এক রোহিঙ্গা যুবক সহ দুইজন’কে গ্রেফতার করেছে।
২১ জুলাই(সোমবার) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত আটক আসামীদের দেয়া তথ্যমতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আজুখাইয়া ফকির পাড়া সংলগ্ন গহীণ পাহাড় থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাশরুরুল হকের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ও ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের আইসি মো: জাফর ইকবালের যৌথ পুলিশের দল এই উদ্ধার অভিযান চালান।নিহত ছৈয়দ নুর উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দরগাহ বিল বাগান পাড়ার বাসিন্দা আলী আহমদের ছেলে।সে সীমান্ত এলাকায় টুকিটাকি ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতো।পূব লেনদেনের হাওলাতি টাকা বাবত সিগারেট দেয়ার কথা বলে প্রধান অভিযুক্ত আসামী ইসমাঈল মোবাইলে ছৈয়দ নুরকে ডাকেন।তখন নিজের মোটর সাইকেল চালিয়ে আমতলী ছড়ায় যান ছৈয়দ নুর। ওখান থেকে বাইশফাঁড়ী যাওয়ার কথা বলে সেই দিনই গহীন পাহাড়ে নিয়ে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে, হাত-পা বেঁধে জানে মেরে ফেলে দেয়া হয়।ছৈয়দ নুরের স্ত্রী জোবাইদা বেগম(২২),
ফারজানা ইয়াসমিন মুন্নি সাড়ে ৫ ও জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি নামের আড়াই বছর বয়সী
দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহতের খালাতো ভাই উখিয়ার দরগাহ বিল গ্রামের আবদুস সালাম জানান,গত শুক্রবার জুমার নামাযের পর ঘুমধুম ইউনিয়নের আজুখাইয়া এলাকার অচিয়র রহমানের ছেলে ঈসমাঈল ব্যবসায়িক কথা আছে এবং টাকা দেবে বলে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ছৈয়দ নুর’কে ডেকে নিয়ে যান।
এ ঘটনা নাইক্ষ্যংছড়ি ও ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানালে সন্ধিগ্ধ আসামী মো: ঈসমাইল’কে গ্রেফতার করে ঘুমধুম পুলিশ। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে আটক ইসমাইলের দেয়া তথ্যমতে আরও এক রোহিঙ্গা যুবক’কে আটক করেন পুলিশ।দুইজনের দেয়া তথ্যে অপহরণের ৪ দিনের মাথায় ছৈয়দ নুরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মাশরুরুল হক জানান,গত ১৯ জুলাই অপহরণের অভিযোগে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অপহ্নত ছৈয়দ নুরের স্ত্রী জোবাইদা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন।মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেয়া তথ্যে ঘুমধুমের পাহাড় থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় দুইজন’কে গ্রেফতার করা হয়েছে।এরা হলেন,প্রধান অভিযুক্ত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের আজুখাইয়া গ্রামের বাসিন্দা অচিয়র রহমানের ছেলে ইসমাইল(৩০) ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১’র সি ব্লকের আশ্রিত রোহিঙ্গা আলী উল্লাহ ও শামসুন্নাহার দম্পতির ছেলে রহমত উল্লাহ (৩০)।তার ব্লক মাঝি মো: আয়াস।তদন্ত চলছে,বাকি আসামীদের গ্রেফতার ও নিহতের মোটর সাইকেল উদ্ধারে পুলিশী অভিযান চলমান রয়েছে।