আবু তাহের আজাদ,
উখিয়ার কুতুপালং বাজারে বর্ডার ক্রস ও মাষ্টার কপি মোবাইল বিক্রির কারণে বিপাকে পড়েছে সাধারণ দোকানদারেরা। এই নিয়ে সাধারণ মোবাইল দোকানেরা ক্রেতাশুন্যতায় ভুগছে।
২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পলিয়ে আসে ১২ লাখের ও বেশি রোহিঙ্গা। বাংলাদেশে আসার পর থেকে রোহিঙ্গাদের হাতে হাতে মোবাইল ও বাংলাদেশী সিম। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ার তারা জড়িয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন অপরাধে।
অনুসন্ধানে জানাযায়, কুতুপালং বাজারে ৩০/৪০ এর মতো মোবাইলের দোকান রয়েছে এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দোকান রোহিঙ্গা দ্বারা পরিচালিত হয়। তবে কয়েকটি দোকানে পাওয়া যায় বর্ডারক্রস ও মাষ্টার কপি মোবাইল। দাম কম হওয়ায় ঐ দোকান গুলোতে প্রতিদিন ক্রেতার ভিড় থাকে। যা সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখাযায়, কুতুপালং বাজারের আতিক টেলিকম, রোহিঙ্গা হাবিবের দোকান, রোহিঙ্গা ইলিয়াস, সুমন টেলিকম,মায়ের দোয়া টেলিকম, সহ বেশ কয়েকটি দোকানে বর্ডার ক্রস মোবাইল ও সিম পাওয়া যাচ্ছে।
তারা বিভিন্ন কোম্পানির লোক দ্বারা বর্ডার ক্রস মোবাইল নিয়ে আসে। গত ৩ জুলাই মোবাইলের টাকা নিতে আসলে কুতুপালং বাজারে ছাগল ব্যবসায়ী রোহিঙ্গা সোনা মিয়া কতৃক কক্সবাজারের স্থানীয় মোবাইল দোকানদারকে ব্যবসায়িক হিসাবে গরমিল করায় মারধরের অভিযোগ ও উঠেছে। বর্ডার ক্রস ও মাস্টার কপি মোবাইল বিক্রিয়তা ও ক্রেতার মাধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়াও লেগে থাকে।
জানাযায়, কুতুপালং বাজারে অনেক রোহিঙ্গা মোবাইল দোকাদারেরা বর্ডার ক্রস ও কপি মোবাইল নিয়ে আসে তাদের এসব অপরাধ কর্মকাণ্ডের জন্য সহযোগিতা করছে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যাক্তি। তারা নিজের নামে ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে রোহিঙ্গাদের দ্বারা ব্যবসা চালাচ্ছে।
ট্রেড লাইসেন্স এর ব্যপারে জানতে চাইলে রাজাপালং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন বলেন, স্হানীয়রা দোকানের চুক্তিনামা ও এনআইডি কার্ড দিলে আমরা যাচাই করে ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে থাকি।
যারা ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার পর রোহিঙ্গাদের দ্বারা ব্যবসা চালায় সেই মালিকদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা জরুরি!
রোহিঙ্গারা দোকানদার গুলো কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স পেয়ে থাকে এমন প্রশ্নে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ জানায়, যারা আমাকে দোকানের চুক্তিনামা ও স্থানীয় ব্যক্তির আইডি কার্ড সহ স্থানীয় ইউপি সদস্যের লিখিত সাক্ষর সঙ্গে আনলে সনাক্ত পরবর্তী ট্রেড লাইসেন্স সংরক্ষণ করে করে দিয়ে থাকি।