শ.ম.গফুর :
উখিয়ায় নিখোঁজের প্রায় ১৪ ঘন্টা পর এক ইউপি সদস্যের জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ হত্যা নিয়ে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে জনমনে।গত ৫ বছর পূর্বে ইউপি সদস্য কামাল হোসেনের ভাই জসিম’কেও হত্যা করা হয়েছিল।
তাহলে কি ঘটনার নেপথ্যে ৫ বছর আগে হত্যার শিকার ভাইয়ের হত্যাকারিই কি এ হত্যার সাথে জড়িত? এমন প্রশ্ন এখন সকলের। পুলিশও এই হত্যা দুইটি একই ঘটনার জের কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী এলাকার একটি পাহাড়ি ছড়া থেকে কামাল হোসেন নামের এই ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়ার ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) দুর্জয় সরকার।
নিহত কামাল হোসেন ওই এলাকার সিদ্দিক আহমদের ছেলে এবং জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। তিনি উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের বরাতে এসআই দুর্জয় সরকার জানিয়েছেন, সোমবার রাত ১১ টার পর বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন কামাল হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে মনখালী খালে বস্তা ভর্তি কিছু দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ বস্তা খুলে জবাই করা মরদেহ পায়। পরে স্বজনরা এসে মরদেহটি কামাল হোসেনের বলে শনাক্ত করে।কারা, কিভাবে এ ঘটনাটি সংঘটিত করেছে এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই খুন হন কামাল হোসেনের আরেক ভাই জসিম উদ্দিন। ওই দিন মনখালী মেরিন ড্রাইভের পাশ থেকে জসিম উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। মুলত জসিম হত্যায় জড়িতরা কামাল হোসেনকেও হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে নিহতের স্বজনরা।হত্যাকারী হিসেবে তাদের মুখে তোফায়েল সহ কয়েকজনের নাম শোনা যায়।
উখিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, কামাল হোসেনকে হত্যার কারণ বের করতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ২০১৯ সালে ভাইকে হত্যার বিষয়টিও সামনে রেখে এই তদন্ত চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত: গত দুই সপ্তাহের মধ্যে উখিয়ার জালিয়া পালং এলাকায় ৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।আবারও সন্ত্রাস ও মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হতে সময় লাগবে না বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা। গত ২৩ জুন সশস্ত্র ডাকাতির সময় গুলিতে নিহত হয়েছেন গৃহকর্তা নুরুল আমিন। ৫ জুলাই : মাদকাসক্ত পিতার হাতে খুন ৪ বছরের শিশু কন্যা কানিজ ফাতেমা জ্যোতি। ৮ জুলাই : নিখোঁজের একদিন পর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার ইউপি সদস্য কামাল হোসেন দূর্জয়ের। এইসব ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে—এমনটাই বলছেন সচেতন মহল।