1. info@channelukhiya.com : চ্যানেল উখিয়া : চ্যানেল উখিয়া
  2. info@www.channelukhiya.com : চ্যানেল উখিয়া :
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আবুল খায়ের টোব্যাকো’র ঈদগাঁও এজেন্ট আবুল হোসেন’র ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন কক্সবাজার কারাগারে ‘মধুমাস’ উদযাপন, মৌসুমি ফল পেয়ে উচ্ছ্বসিত বন্দিরা! উখিয়ায় প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে চিরচেনা গরু-মহিষ,লাঙ্গল-জোয়ালের ‘হালচাষ’ উখিয়ায় প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে চিরচেনা গরু-মহিষ,লাঙ্গল-জোয়ালের ‘হালচাষ’ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ত্রিমুখী সংঘাত: অভ্যন্তরে প্রবেশে বাধা দিতে বসানো হচ্ছে স্থলমাইন! উখিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের অভিযান:৪ প্রতিষ্ঠানের ২লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা বালুখালী সীমান্তে ২০ হাজার ইয়াবাসহ দুই বহনকারী আটক:মুল মালিক ছৈয়দুল হক ও নুরুল হক অধরা! কুতুপালং বাজার এখন সিসিটিভি’র আওতায়! উখিয়ার মরিচ্যা এলাকায় র‍্যাবের অভিযানে সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্রসহ অন্যতম সন্ত্রাসী ফারুক গ্রেফতার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৯,৬২০ পিস বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ত্রিমুখী সংঘাত: অভ্যন্তরে প্রবেশে বাধা দিতে বসানো হচ্ছে স্থলমাইন!

  • প্রকাশিত: বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

 

মাহমুদুল হাসান:

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান ত্রিমুখী সংঘাত এবং সীমান্ত দিয়ে অভ্যন্তরে প্রবেশে বাধা দিতে আরাকান আর্মি বিভিন্ন এলাকায় স্থলমাইন পুঁতে রাখছে—এমন তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে। আগে থেকেই মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে রাজ্য দখল নিয়ে তুমুল সংঘর্ষ চলছিল।
বর্তমানে আরাকান আর্মি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে নিলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে এখনও সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। ফলে পুরো রাজ্যের দখল এখনো তাদের হাতে চলে যায়নি—বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত প্রায় ১৪ লাখ রোহিঙ্গার একটি অংশ নিজেদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় গোপনে ও প্রকাশ্যে আরাকান আর্মি ও জান্তার সাথে লড়াই করছে। যার ফলে রাখাইন রাজ্যে বর্তমানে সংঘাত তিন পক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ—সামরিক জান্তা, আরাকান আর্মি এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। এই ত্রিমুখী সংঘাতের প্রেক্ষাপটে সীমান্ত এলাকায়, বিশেষ করে তারকাটা ঘেঁষা অঞ্চলগুলোর ভিতরে,বাইরে আরাকান আর্মি স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে, যাতে করে সীমান্ত পেরিয়ে আগমন রোধ করা যায়। কিন্তু এই মাইন বিস্ফোরণে সীমান্তবর্তী দুই পাশে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন কিংবা পঙ্গুত্ব বরণ করছেন।
সম্প্রতি মাইন বিস্ফোরণে ৫-১০টি পশু নিহত/আহতের খবর জানা গেছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের রামু উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা ও আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একাধিক ব্যক্তি এই মাইন বিস্ফোরণের শিকার হয়েছেন। কারো বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে, কারো ডান পায়ের গোড়ালি উড়ে গেছে—এমন হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে প্রায়ই। যেমন ২০২৫ সালের ২৫ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির আশারতলীর আলী হোসেন এবং দৌছড়ি ইউনিয়নের মুজিবুল রহমানের ছেলে আরিফ উল্লাহ রাসেল ফুলতলী সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন। ৩ ফেব্রুয়ারি একই এলাকায় বিস্ফোরণে আহত হন কাউয়ার খোপের তরুণ তরিকুল উদ্দিন। একইভাবে ১ মার্চ মুহাম্মদ নুরুন্নবী, ১১ আগস্ট রোহিঙ্গা লেঠু ও নবী হোসেন ওরফে সোনাইয়া, ৭ ডিসেম্বর মিয়ানমারের মেদাইকংয়ের মংসু তাইং গ্যাইসা, ২৩ জুন চাবং গ্রামের ওলিমং তংচংগ্যা এবং ২৬ জুন কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রিত ইউনুছ নামের যুবক সীমান্তের লাল কাইন্দা এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে আহত হন।
এছাড়াও জানা গেছে, আরও কয়েকজন ব্যক্তি এই বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন, যারা এই প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত নন। অনেকেই এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। কেউ কেউ স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সীমান্তের জিরো লাইন থেকে শুরু করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পর্যন্ত বিস্তৃত এ মাইন-ঝুঁকি সাধারণ মানুষের জীবনকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি আরও উদ্বেগজনক।
১৯৯৭ সালের অটোয়া চুক্তি, যা স্থলমাইন নিষিদ্ধকরণ কনভেনশন নামেও পরিচিত, এটি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন (এপিএম) ব্যবহার, মজুদ, উৎপাদন এবং স্থানান্তরের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই চুক্তি অনুযায়ী কোনো দেশ স্থলমাইন ব্যবহার, মজুদ, উৎপাদন এবং স্থানান্তর করতে পারবে না।
বাংলাদেশ এই চুক্তির সদস্য এবং মাইন স্থাপনকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে দেখে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, “রাখাইনে সংঘাত চলমান থাকায় আরাকান আর্মি তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলো রক্ষার নামে মাইন পুঁতে রাখছে। তবে বাস্তবে এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এপারের সাধারণ বেসামরিক মানুষ। এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।”
সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী সচেতন নাগরিকদের মতে, “জীবিকা নির্বাহের জন্য চাষাবাদের সময় তারা প্রায়ই আহত বা নিহত হওয়ার আশঙ্কার মধ্যে বসবাস করছেন।”
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বিষয়ক সাংবাদিক তানভীরুল মিরাজ রিপনের মতে, “বাংলাদেশ যেহেতু অ্যান্টি-মাইন চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী, সেহেতু নিজ দেশের নাগরিকরা সীমান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরা উচিত। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলেরও উচিত এই সীমান্ত-সংকট নিরসনে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করা এবং স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে মাইন অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করা।”
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) ও নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি)’র নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট বিওপির কর্মকর্তারা সীমান্তবর্তী বাজারে বাজারে গিয়ে স্থানীয় জনসাধারণকে সচেতন করতে সভা করছেন। এর মাধ্যমে সীমান্তে চলাচলরত জনগণের মধ্যে মাইন বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা রোধে একটি প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট