নিজস্ব প্রতিবেদক :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে বড় ধরনের ইয়াবা চালান আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এক অভিযানে ২০ হাজার পিস বার্মিজ ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা কিশোরকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) একটি বিশেষ টহল দল।
সূত্রে জানা গেছে, বিজিবি’র ঘুমধুম বিওপি’র টহল দল সীমান্তবর্তী জামালের ঘের নামক স্থানে ওঁত পেতে থাকে। দুপুর আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে দুই ব্যক্তি একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে এগিয়ে এলে বিজিবি সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করেন। তারা পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি ধাওয়া করে দুইজনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন—করিম উল্লাহ (১৮), পিতা মো. সুলতান, এবং মো. মুজিবুর রহমান (১২), পিতা পীর মোহাম্মদ; উভয়েই কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮-ই এর বাসিন্দা। করিম উল্লাহ ব্লক-বি/৮১ এবং মুজিবুর রহমান ব্লক-৮৯ নম্বরে আশ্রীত রোহিঙ্গা।
পরে আটককৃতদের বহনকৃত ব্যাগ তল্লাশি করে ২০ হাজার পিস বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম (পিএসসি) বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে বিজিবি। মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে মাদক পাচার প্রতিরোধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে বড় ধরনের চালান আটক সম্ভব হয়েছে।” তিনি আরও জানান, আটকৃতদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থানীয় সচেতন মহল বিজিবির এ ধরনের অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “নিয়মিত অভিযান চালালে সীমান্তে মাদক চোরাচালান অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এই অভিযানগুলো যুবসমাজকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
উল্লেখ্য, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচারের অন্যতম প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ইয়াবার বড় বড় চালান এনে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালায় চোরাকারবারিরা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিজিবির ধারাবাহিক তৎপরতায় এসব অপতৎপরতায় বড় ধরনের লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে।