শ.ম.গফুর
সীমান্তে মাদক চোরাচালান রোধে বড় সাফল্যের পরিচয় দিচ্ছে কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি)। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা থেকে মায়ানমার হতে আনা আসামীবিহীন এক লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে তারা।তবে অভিযানের সময় মাদক বহনকারী চোরাকারবারিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
বুধবার(২৫ জুন) ভোররাতে কক্সবাজার ব্যাটালিয়ান (৩৪ বিজিবি)’র অধীনস্থ ঘুমধুম বিওপি’র একটি বিশেষ টহল দল উপজেলার সীমান্তবর্তী নোয়াপাড়া খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে এসব ইয়াবা ট্যাবলেট গুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
৩৪ বিজিবি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, মায়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে।এ সংবাদে বুধবার ভোররাতে ঘুমধুম বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল সীমান্তবর্তী নোয়াপাড়া খাল এলাকায় কৌশলগত অবস্থান নেন।অভিযানের সময় দেখা যায়, দুটি কাপড়ের ব্যাগ হাতে করে দুইজন ব্যক্তি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। বিজিবি’র সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে, তারা ব্যাগ ফেলে দ্রুত মায়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। ফেলে যাওয়া ব্যাগ তল্লাশি করে ১ লাখ পিস পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন(৩৪ বিজিবি)’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম (পিএসসি) বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স। সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান রোধে আমাদের প্রতিটি টহলদল সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। টহলের ফলে এবারের অভিযানে বড় একটি চালান আটক করা সম্ভব হয়েছে। যা জনসচেতনতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন,বিজিবি’র নিয়মিত তৎপরতায় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।অভিযান অব্যাহত থাকবে।সূত্রে জানা যায়,সাম্প্রতিক সময়ে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা পাচার বেড়েছে বলে দাবি স্থানীয়
জনপ্রতিনিধিদের। এতে তারা আরও কঠোর নজরদারির দাবি জানান।