মাহমুদুল হাসান:
বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডস্থ ফাত্রাঝিরি গ্রামের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ঝর্ণা দেখতে গিয়ে পানির প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়ে এক কিশোর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিখোঁজ কিশোরের নাম হাফেজ মেহরাব হোসাইন (১৮) বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৭-জুন) অনুমান সকাল ৬টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মরিচ্যা বাজার এলাকার বাসিন্দা হোটেল ওয়াকিয়ার মালিক মনজুর আলমের ছেলে নিখোঁজ মেহরাব’র সাথে সাজ্জাদ, নাছিমসহ প্রায় দেড় দেড় ডজন’ বন্ধু মিলে ফাত্রাঝিড়ি ঝর্ণা দেখতে যায়।
ঝর্ণা দেখা ফেরার পথে দুপুর আনুমান দেড়টার দিকে হঠাৎ চলমান আষাঢ়ের প্রবল বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে খালে পানি বেড়ে যায়। খাল পাড়ি
দিতে বাঁশের একটি চালি বানায় তারা, তবে স্রোত বেশি হওয়াতে বাশের চালি ভেঙে গেলে মেহরাব পানিতে পড়ে গিয়ে মুহূর্তেই পানিতে ভেসে যায়।
তখন থেকে এখন অবধি মেহরাব নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনা পরবর্তী স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা উদ্ধার অভিযানে নামলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত মেহরাবের কোনো সন্ধান পায়নি। নিখোঁজ মেহরাবের চাচা আবদুল মালেক জানান, * ধারণা করছি পানির স্রোতে মেহরাব সমুদ্রে ভেসে গেছে। দীর্ঘক্ষণ খোঁজা-খোঁজির পরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা গেছে *যে খালটিতে মেহরাব ভেসে গেছে সেটি ধুরুম খালি থেকে রেজুখাল হয়ে সরাসরি বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। এবং তারা ধারণা করেন , নিখোঁজ কিশোর পানির প্রবল স্রোতে সমুদ্র পর্যন্ত ভেসে যেতে পারেন।
নিখোঁজ হাফেজ মেহরাব হোসাইন’র কোন তথ্য বা কোথাও খোঁজ মেলে তাহলে কক্সবাজারের মরিচ্যা বাজারস্থ ওয়ালটন প্লাজা মার্কেটে যোগাযোগ করার জন্য মেহরাবের পরিবারের পক্ষ থেকে কর জোর অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ সংক্রান্তে নাইক্ষ্যংছড়ির অধিনস্থ ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ওসি) জাফর ইকবাল বলেন, খবর পেয়েছি মাত্র এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশ পাঠিয়েছি। পরিদর্শন পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।