নিজস্ব প্রতিবেদক:
উখিয়ার বালুখালীতে যুবদল নেতা আনোয়ার শিকদার অপহরণ ঘটনাটি সাজানো নাটক বলে অবহিত করে থাইংখালীতে পৃথক দুইটি সংবাদ সম্মেলন করেছে।১০ জুন বিকেলে পৃথক দুই সংবাদ সম্মলনের একটি করেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান(ইউপি) এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী এবং অপর সংবাদ সম্মেলনটি করেন স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আবদুল গফুর মুন্না ও স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যানারে।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি'র চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন,উখিয়ার বালুখালী বাজারটি উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপি'র সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর ফুফাতো ভাই জহির উদ্দিন চৌধুরী ২০২৫-২০২৬ অর্থসালের জন্য সরকারী নিয়ম মোতাবেক ইজারা প্রাপ্ত হন।বালুখালী বাজারটি উখিয়ার ঘাট মৌজায় অবস্থান।অথচ উখিয়ার ঘাট মৌজা অতিক্রম করে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরত্বে পালংখালী মৌজার ২ ও ৪ নং ওয়ার্ডের ময়নারঘোনা,মরাগাছতলা ও দারুদ তাওহীদ মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় ইজারার নামে চাঁদা উত্তোলন করে আসছেন উপইজারাদার আনোয়ার শিকদারের লোকজন।এতে তাদের হাতে বিভিন্ন সময় হয়রানীর শিকার ভুক্তভোগী লোকজনের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে মুল ইজারাদার জহির উদ্দিন চৌধুরীর নিকট ইউপি'র প্যাডে একখানা চিঠি প্রেরণ করি।যা বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নিকট অবগত করি।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপইজারাদার আনোয়ার শিকদার উল্টো তাকে জাতীয়তা সনদ দিই নাই এবং চাঁদা দাবী করে হেনস্তা করেছি,কথিত অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার ও কক্সবাজার কোর্টে দ্রুত বিচার আইনে একটি চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।আমি কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসন থেকে নির্দলীয় হিসেবে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করি।যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হয়।গত ৯ জুন আমার সমর্থক গোষ্ঠীর ব্যানারে ঈদ ভ্রমণ করার আয়োজনের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসুচী ঘোষণা করেন।ইজারার নামে ভিন্ন মৌজা এবং অন্য দুই ওয়ার্ড এলাকা থেকে
চাঁদাবাজির প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি প্রেরণ, সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা এবং ঈদ ভ্রমণ'কে বানচাঁল করার হীন উদ্দেশ্যে গত ৮ জুন রাত ৮ টা থেকে ৯ টার দিকে উপইজারাদার আনোয়ার শিকদার'কে অপহরণ করা হয়েছে,মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে উদ্ধার,প্রতিবাদে বিক্ষোভ আর টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ কর্মসুচী পালন করেন। আমার বিরুদ্ধে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় বক্তব্য দেন অনেকেই।কথিত অপহরণের অভিযোগ এনে উখিয়া থানায় আনোয়ার শিকদারের বড় ভাই সরওয়ার শিকদার বাদী হয়ে আমি সহ ৬ জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।যা খুবই দু:খজনক।আমি ঈদুল আজহার নামায পড়ে বাড়িতে ফিরে কথিত অপহরণ ঘটনাকালীন সময় পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হয়নি।
অথচ ওই মিথ্যা মামলায় আমার এক ভাইপো, এক জামাতা ছাড়াও স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি এবং যুবদলের দুই নেতাকেও আসামী করেছে।আমি উক্ত মিথ্যা মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করছি।এখন আরো চরম আশংকা করছি,আনোয়ার শিকদার কিংবা অন্য কাউকে মেরে আমাকে মিথ্যা খুনের মামলায় আসামী করতে পারে,আবার আমাকেও মেরে ফেলতে পারে, তা নিয়ে চরম আতংক আর শংকায় রয়েছি।আমিও তো বিএনপি করতাম।টানা তিনবার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পদবী ধারী পার্টি করছিনা।ইউনিয়ন বাসীর স্বার্থে সব দলের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে চলছি।গত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার আমলে গাড়ী পোড়া,বিজিবি'র হামলা সহ বহু মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।এখন আগের বিএনপি নেই বলে সক্রিয় হচ্ছিনা।
অপরদিকে উক্ত সাজানো মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছে পালংখালী ইউপি'র ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর মুন্না।মিথ্যা সাজানো অপহরণ মামলায় স্থানীয় চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী সহ অপরাপর নিরীহ মানুষদের আসামী করায় ভুক্তভোগী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যানারে আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়।থাইংখালীস্থ মোটর চালক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর মুন্না।তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে করা সাজানো অপহরণ মামলার বাদী পালংখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব সরওয়ার শিকদার।আমি তার অনুমোদিত ৫ নং ওয়ার্ড যুবদলের কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম।আমার স্ত্রী মহিলা দলের দায়িত্ব পালন করছেন।আমি ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার আমলে ১৭টি বছর বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি যুবদল করেছি বলে।নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হয়েছি।দলের দু:সময়ে প্রতিটি মিছিল-মিটিংয়ে যোগদান করেছি।এখন আওয়ামীলীগ নাই।এই সময়ে দলের লোকদের মিথ্যা সাজানো মামলায় আমাকে আসামী করেছে।খুবই দু:খভারাক্রান্ত মন নিয়ে এর বিচার দলের উর্ধ্বতন এবং দেশবাসীর নিকট দিলাম। পৃথক দুই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি,যুবদল ও স্থানীয় এলাকাবাসীদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।