মাহমুদুল হাসান :
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তঘেষা ঘুমধুম ইউনিয়নের প্রধান সড়ক বেতবুনিয়া থেকে জলপাইতলী পর্যন্ত অধিকাংশ ভেঙে যাওয়াতে যাত্রীদের দুর্ভোগের অন্ত নেই।এই সড়কটিতে দৈনিক ২-৩ শত বিভিন্ন ধরনের গাড়িতে অন্তত ৪-৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। গেল ৪দিনের ভারী বর্ষনে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বেহাল দশা! যেকোনো সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নেজার ঘেরের অর্থাৎ তুমব্রু থেকে জলপাইতলীর ডুকার শুরুতে ঘুমধুম বেতবুনিয়া বিজিবির চেকপোস্ট পার হয়ে মৈত্রী সড়ক পর্যন্ত স্থানভেদে প্রায় ২০টি ছোট বড় ভাঙ্গন রয়েছে। জলপাইতলি মসজিদ থেকে প্রধান শিক্ষক (অব) সাজেদ উল্লাহ বাগানের বাগ পর্যন্ত রাস্তায় ৩টি যার ১টি মারাত্মকভাবে ভেঙে পাশের জমিনে মিশে গেছে।
এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করে। রাস্তার অধিকাংশ ভেঙে যাওয়াতে যাত্রীরা স্থান থেকে নেমে গিয়ে উল্টো গাড়ি ধাক্কা দিয়ে কাঁদাযুক্ত অবস্থায় পার হয়ে গাড়িতে উঠতে দেখা যায়। পাশাপাশি কিছু ড্রাইভার যাত্রীদের না নামিয়ে বেশ ঝুঁকি নিয়ে পার হতেও দেখা মিলে। বেশকজন যাত্রী ও ড্রাইভার জানায়, নিরুপায় হয়ে রাস্তা পার হতে হয়। যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশি বলেও জানিয়েছেন তারা।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও সচেতন নাগরিক এরশাদুল হক এ প্রতিবেদককে বলেন, দশ চাকার মাঠির ট্রাক রাস্তাটা শেষ করে দিয়ে গেল, তারা ব্যবসা করল, কেউ কেউ মাল খাইল, কষ্ট পাচ্ছে জনগন। সেনাবাহিনীর দোহাই দেয়া নেতারা আজ কোথায়?
দুই একদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দা/পরিবহন সমিতির মালিক ও শ্রমিকরা তাদের জন্য বিকল্প হিসেবে সীমান্ত সড়কটি ( নেজার ঘের থেকে ঘুমধুম বিওপি পর্যন্ত খুলে দিতে নিজেদের ভেরিফাই ফেইসবুকে ৩৪ বিজিবির অধিনায়কের সুদৃষ্টি চেয়ে পোস্টও করেছেন।
এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসন(ভারপ্রাপ্ত) ক্যবু মারমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কোরবান পরবর্তী রাস্তার কাজ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উক্ত সড়কটি মেরামত পূর্ববর্তী অনাকাঙ্ক্ষিত ঘট*না এড়াতে বিকল্প সীমান্ত সড়ক(ঘুমধুম থেকে জলপাইতলী) উন্মুক্ত করতে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে কর্ণেল খায়রুল আলম’র কাছে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
তাছাড়া তিনি সম্প্রতি কয়েকটি প্রোগ্রামে বলেছেন, সীমান্তে বিজিবি হবে জনগণের আস্থার প্রতীক।