বিশেষ প্রতিবেদক:
নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তে ১১ বিজিবি কঠোর অবস্থানে থাকার কারনে চোরাকারবারি সিন্ডিকেট সদস্যরা গরু নিয়ে আসার নিরাপদ সড়ক হিসেবে বেঁচে নিয়েছে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু ও বাইশফাঁড়ী এলাকা! ঐ এলাকার সিন্ডিকেট সদস্যরা নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করে রাজস্ব ফাঁকী দিয়ে দিবারাত্রি বার্মিজ গরু আনার হিড়িক ফেলেছে । স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সিন্ডিকেট সদস্যরা রাতে ও দিনে বিজিবির উপস্থিতি লক্ষ করে হুট করে ওপারের(মিয়ানমার)ক্রুকডিংগা থেকে এপারে প্রবেশ করায়। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানায়
যদি রাতে গরু আসবে এমন খবর প্রকাশ হলে তারা (সিন্ডিকেট)সারারাত পাহারায় থেকে ভোরে অথবা সকালে বিজিবির গতিবিধি লক্ষ করে ৫/১০টা করে গরু নিয়ে আসে। তিনি আরো জানান, দিনের বেলায় যে বার্মিজ গরু নিয়ে আসে তা দেখতে হুবহু দেশি গরুর মত। বিজিবি বুঝতে না পারে মত প্রত্যকটি গরুর গলায় রশি থাকে, এবং গরুগুলো দেখতে ছোট ও মাঝারি আকারের হয়।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বার্মিজ গরু আনতে তুমব্রু ও বাইশফাড়ী এলাকার ৭-৮টি সিন্ডিকেট সদস্যরা সক্রিয়। তারা সীমান্ত পিলার ৩৫,৩৬’র স্থানভেদে ফাইটার(পাহারাদার) বসিয়ে তাদের পূর্ব নির্ধারিত নিরাপদ স্থান থেকে গরু প্রবেশ করায়। বার্মিজ গরু নিয়ে আসার পূর্বে বিজিবির গতিবিধি লক্ষ করতে তুমব্রু বাজার, উত্তর পাড়া, বাঁশ বাবান পাড়ার প্রবেশস্থ ইব্রাহিম ফকিরের দোকান, আংগামুরুং পাহাড়, মক্কুর ঢিলা, বাইশফাঁড়ী লাল ব্রিজ, বাইশফাঁড়ী চাকমা পাড়ায়
পাহারায় থাকে সিন্ডিকেট সদস্যরা।
সরজমিন ঘুরে আরো জানা গেছে, সিন্ডিকেট সদস্যেদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয় তারা। যা পূর্বেও নজির আছে। বুধবার ২৮মে সারাদিন বৃষ্টি ছিল তার মধ্যেই শতাধিক বার্মিজ গরু কৌশল আংগামুরুং দুই পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে একজনের সৃজিত আম বাগান নষ্ট করে রাবার বাগান হয়ে বাশঁবাগানের রাস্তা দিয়ে ঘোনার পাড়ার পরিত্যক্ত বিলে নিয়ে আসে বলে সুত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে। গরু চোরাচালান সহজ করতে কতিপয় ব্যক্তিদের ম্যানেজ করতে ব্যস্ততায় থাকে স্থানীয় আব্দুল করিমের ছেলে আব্দুর রহিম প্রকাশ( রউক্কা)।
তাকে প্রশাসনিকভাবে জিজ্ঞেসাবাদের সম্মুখীন করালে (তার ব্যবহৃত মুঠোফোনসহ) চোরাচালান সংশ্লিষ্ট চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়ে বলে দাবি স্থানীয় সচেতন মহলের।
বার্মিজ গরুকে দেশীয় গরুর বৈধতা দিতে একটি চক্র শ্লিপ বাণিজ্যে মেতেছে এমন একটি খবর চাউর হয়েছে। যার সত্যতা খোঁজতে মাঠে কাজ করছে এ প্রতিবেদক।
নাইক্ষ্যংছড়ির অধিনস্থ ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর ইকবাল’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চোরাই পথে গরু আসতেছে এমন কোন খবর পাইনি! যদি খবর পাই বিজিবিকে সাথে নিয়ে অভিযান করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।