শ.ম.গফুর:
হটাৎ বৃষ্টির কারণে উখিয়ার হাটবাজারে গুলোতে শাকসবজি তরিতরকারির দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।বেশ কিছুদিন কাঁচা তরিতরকারির মুল্য ভোক্তা সাধারণের নাগালের ভিতরে থাকলে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ফের মুল্য বৃদ্ধি করেছে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র।এতে ক্রেতারা বিপাকে পড়েছে।এই দুইদিনে যেনো আকাশ ছোঁয়া মূল্য বেড়েছে।এই নৈরাজ্য কবে কমতে শুরু করবে কারো জানা নেই। গত এক সপ্তাহের তুলনায় বর্তমান বাজারের চিত্র দেখে ক্রেতা সাধারণ স্বস্তিতে নেই। তবে এখনো পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে দাম ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ করা যাচ্ছে।অভিযোগ উঠেছে, বাজার ভিত্তিক সিন্ডিকেট সৃষ্টি করে কিছু অসাধু তরকারি ব্যবসায়ীরা ক্রেতা সাধারণকে জিম্মি করে তরিতরকারি ও শাক সবজির অধিক মুল্য আদায় করে নিচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলা প্রশাসনের কোন প্রকার বাজার মনিটরিং না থাকায় অসাধু সিন্ডিকেটকারী ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া থেকে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে,এমনটাই জানালেন ভোক্তারা।
বর্ষার সময় বৃষ্টিতে সবজি উৎপাদনকারী বেশ কয়েকটি জেলায় পানি জমে তলিয়ে গিয়ে হাজার হাজার হেক্টর সবজি চাষ বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ব্যাপক শাক সবজির ঘাটতি দেখা দেয় বলে জানান অনেক ব্যবসায়ী। দেশে সব ধরণের সবজিতে আকাশচুম্বী দাম উঠার কারণে হাট বাজারসমূহে এক প্রকার মুল্য নৈরাজ্য দেখা দেয়, ফলে অনান্য উপজেলার ন্যায় উখিয়া উপজেলার হাট বাজারগুলোতে সবজির মুল্যে সাধারণ ক্রেতারা দিশেহারা হয়ে পড়ে।
বর্তমানে গ্রামগঞ্জে ব্যাপক শাক সবজি চাষ হচ্ছে এবং তা ইতিমধ্যে বাজারে আসতে শুরু হওয়ায় মুল্য কমতে শুরু করেছিল,কিন্তু গত দিনের হালকা বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে সরবরাহ কম বলে অতিরিক্ত মুল্য হাতিয়ে নিচ্ছে।
শুক্রবার (২৩মে)কোটবাজার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, তিত করলা ৬০ টাকা,বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০/৮০ টাকা, দেশি বগ আলু ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০/৭০ টাকা, টমেটো ৮০/১০০ টাকা, শশা ৫০/৬০ টাকা, লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০/৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০/৫০ টাকা, গাজর ৪০/৬০ টাকা, ধনেপাতা ১০০ টাকা , কাঁচামরিচ ৮০/১০০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, ললিত আলু ২৫ টাক ও এছাড়াও শাক বিক্রি হচ্ছে আটি ২০/৩০ টাকা, লাল শাক ৬০ টাকা কেজিতে।
তবে ক্রেতা সাধারণকে আশ্বস্ত করেছেন কোটবাজার সবজি বাজারের মোঃ হারুন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বাজারে কিছুটা চড়া দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে সবজি দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।মরিচ্যা,সোনারপাড়া,পাতাবাড়ী,ভালুকিয়া, উখিয়ার সদর দারোগা বাজার,কুতুপালং,
বালুখালী পানবাজার,থাইংখালী ও পালংখালী বাজারেও একই পরিস্থিতি দেখা গেছে।তবে স্থান ও ক্রেতা ভেদে কোন-কোন বাজারে শাক-সবজির দামে কমবেশী নিতে দেখা গেছে।বালুখালী বাজারে সদায় করতে আসা নুরুল আমিন বলেন,গত তিন দিন আগে যে দামে কাঁচা তরকারি কিনেছি,আজ তা দ্ধিগুণ দামে কিনেছি।
কুতুপালং বাজারে আসা উত্তর ঘুমধুমের শ্রমিক হোছন বলেন,হটাৎ তরকারির বেড়েছে।কিন্তু আমার আজকের আয় বাড়েনি।সংসারের প্রয়োজনীয় তরকারি কিনলাম আগের চেয়ে ১০০ টাকা বেশী ব্যয় হয়েছে।
এলাকায় চাহিদা মোতাবেক শাক-সবজির চাষ হওয়া সত্ত্বেও বাজারে কেনো দাম বাড়লো, তার প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। যাতে গলাকাটা দাম আদায় করতে না পারে তার জন্য প্রশাসনের বাজার মনিটরিং করা জরুরী।তাই সিন্ডিকেটভিত্তিক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
এদিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) যারীন তাসনিম তাসিন বলেন,উপজেলা প্রশাসন রুটিনভেদে হাটবাজার সমুহে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসছে।এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে মনিটরিং করা হবে।