*রাস্তার পাশে, যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং করায় দৈনিক দূর্ঘটনার কবলে স্কুল ছাত্র ছাত্রীরা!
সেলিম উদ্দিন
উখিয়া টেকনাফ সড়কের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়ার কুতুপালং এলাকার রাস্তার পাশে যত্রতত্র এলোপাতাড়ি গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার ঝুঁকি হয়ে উঠেছে। এসব গাড়ির মধ্যেই অধিকাংশ বিভিন্ন এনজিওর পণ্য বোজগাই করা। গত কয়েকদিন ধরে কুতুপালংস্থ এনজিও ব্রাকে অফিস রাস্তার পাশে হওয়ায় দৈনিক শতাধিক বাঁশবাহী ট্রাক বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে। এসব বাঁশবোঝাই ট্রাক গুলো প্রতিদিনই উখিয়া-টেকনাফের আরাকান সড়কের পাশে এলোপাতাড়ি পার্কিং করে দীর্ঘ সময় রাখা হয়।
গাড়ি গুলো রাস্তার পাশে রাখাতেই সাধারণ পথচারি চলাচলের ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় পথচারী চলাচলের জায়গা সংকুচিত হয়ে রাস্তার উপরে দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এতে অনেকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। কুতুপালং এলাকায় প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে কুতুপালংয়ের দুই শিক্ষা প্রতিষ্টান কুতুপালং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা আসেন।
সকাল এবং বিকালে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের আসা যাওয়াতে হিমশিম খেতে হয়। রাস্তার দুই পাশে গাড়ি গুলো রাখাতে ছাত্রছাত্রী এবং পথচারীর ও দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। উক্ত বাঁশবাহী ট্রাক গুলো সন্ধ্যার পর পার্কিং সাংকেতিক লাইট ও না জ্বালানোর কারণেই অনেকটা দুর্ঘটনা প্রবণ হয়ে উঠে। এসব উত্তরণে ট্রাফিক ব্যবস্থায় কোন সংস্থার কার্যক্রম বা দায়িত্ব চোখে পড়েনা।
কুতুপালং এলাকার সামাজিক সংঘঠন স্বপ্নসিঁড়ি যুব সংঘঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, এলোপাতাড়ি গাড়ি পার্কিং করে রাখাতেই, কুতুপালং গ্রামের দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুতুপালং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিপদজনক, তাই যতদ্রুত সম্ভব এর একটা সমাধান করা হবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন বলেন, উখিয়ার দক্ষিণ স্টেশন থেকে শুরু করে কুতুপালং সহ রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন অন্যান্য এলাকায় রাস্তার ধারে এলোপাতাড়ি বাঁশ বোঝাই বড়-বড় ট্রাক পার্কিংয়ের ফলে অন্যান্য গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।
শাহপুরী হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, জনবল সংকট, তার মাঝে জনলোকারণ্য বাজার এলাকায় এনজিওবাহী গাড়ির কারণে যানজট লেগেই থাকে। যানজট নিরসনে সময় চলে যায়। নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশের ঘাটতি নেই।