শ.ম.গফুর/মো:শহিদ
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের রোহিঙ্গা সুন্দরী রোজিনা হয়ে গেলেন নুসরাত জাহান সাথী,হয়ে গেলেন বাংলাদেশের নাগরিক।যথারীতি হাতে পেয়ে গেলেন জাতীয় পরিচয়পত্র, যার নং-৭৮১৮৫৩০৭৯৭ ও পাসপোর্ট, যার নং-এ ০৬০৯২৬৭৫।রোজিনার জন্ম তাং-১০/০৫/১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ।পিতার নাম-
মোহাম্মদ কবির হোসেন,মাতার নাম-রেহেনা বেগম।যার এমআরসি নং-৪৩২১৪-এ,শেড নং-৯,
ব্লক-সি,কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্প,
৯নং ওয়ার্ড,রাজাপালং ইউনিয়ন, উপজেলা/থানা-উখিয়া,জেলা-কক্সবাজার।
কিন্তু কিন্তু নুসরাত জাহান সাথী নামে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বান্দরবানে।যার ঠিকানা দেখিয়েছেন, লাংগী পাড়া,৩১৩ নং বান্দরবান মৌজা,ডাকঘর-বান্দরবান-৪৬০০, বান্দরবান সদর, বান্দরবান পৌরসভা,
বান্দরবান,এই ঠিকানায় বান্দরবান পাসপোর্ট অফিস থেকে হাতিয়ে নেন পাসপোর্ট।
রোজিনা(ভোটার তালিকায় ও পাসপোর্টে নুসরাত জাহান সাথী) কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থী হয়ে কিভাবে নুসরাত জাহান সাথী নাম পাল্টিয়ে বান্দরবানের ঠিকানা ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট পেলেন? এর পেছনে কারা জড়িত? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
তবে সুত্রে জানা গেছে,রোজিনা(নুসরাত জাহান সাথী) প্রবাসী ও ধনাঢ্য রোহিঙ্গাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে,বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোটাংকের টাকা হাতিয়ে নিতে সিদ্ধহস্ত।তাই বাংলাদেশী সেজে জাতীয় পরিচয়পত্র বানান এবং প্রবাসী প্রেমিকদের মোটা টাকায় পাসপোর্টও বানিয়ে নেন।একাধিকবার মালয়েশিয়াও যান।রোজিনার (নুসরাত জাহান সাথী) বহু প্রেমিক-স্বামীর মধ্যে রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের সিরাজুল হকের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী নবী হোসেনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় যানএবং দুইবার আসাযাওয়া করেন। সেখানে থাকাবস্থায় নবী হোসেনের সাথে স্ত্রী পরিচয়ে প্রায় ৮ বছরের বসবাস ও সম্পর্ক ছিল। নবী হোসেনের নিকট থেকে অন্তত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে আর ফিরে যান নি।উল্টো নবী হোসেন’কে তালাক দিয়ে তার রক্ষিত সব সম্পদ আত্মসাৎ করেন।এই রোজিনা(নুসরাত জাহান সাথী) থেমে নেই,কখনো রোহিঙ্গা নারী,কখনো বাংলাদেশী পরিচয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেন আর বিভিন্ন পুরুষ’কে ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেন মোটা টাকা।
এ সংক্রান্তে রোজিনার(নুসরাত জাহান সাথী) সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি,বর্তমানে সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাবা-মা’র পরিবারে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
উখিয়ার রাজাপালং ইউপি’র ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন বলেন,রোহিঙ্গা এদেশের দালাল ও কিছু দুর্লোভী কর্মকর্তার যোগসাজশে অহরহ ভোটার হচ্ছে,পাসপোর্ট হাতিয়ে নিচ্ছে।তদন্ত পুর্বক এসব রোহিঙ্গা ভোটার বাতিলের দাবী জানাচ্ছি।