ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক:
খেয়ে ধেয়ে নাও,তোর আয়ু শেষ হয়ে আসছে।
সাদেক আর কালাপুতু কি জিনিস?বুঝতে পারবি।
বাঁচতে চাইলে ঘরবাড়ি আর ভিটা ছেড়ে চলে যাইতে বলো।ক্যাম্পের ভিতর থাকলে সাদেক মাঝি যা বলবে,তা করতে হবে।ক্যাম্প-৭ চলে সাদেক মাঝির হুকুমে।সাদেক মাঝি ক্যাম্প-৭’র
হুকুমত চলে যে,আর কারো না।ক্যাম্প-৭’র গভর্ণমেন্ট হচ্ছে সাদেক মাঝি।তার হুকুমের বাইরে গেলে বেঁচে থাকা দায় আছে।সাদেক মাঝির আরএসও, আরসা,এআরএ সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ আছে,অস্ত্র আছে,মানুষ আছে,প্রশাসন আছে।ক্যাম্পের সিআইসি,পুলিশ, যতসব প্রশাসন আছে,এমন কি বাংলাদেশের গভর্ণমেন্ট পর্যন্ত সাদেক মাঝির কথায় চলে,সে অনুযায়ী তুই কে? তুই কিছুই না!উপরোক্ত হুমকি স্বরুপ কথা গুলো প্রতিনিয়ত বলে যাচ্ছেন ক্যাম্প-৭’র হেডমাঝি, বি ব্লকের আমির হোছনের ছেলে সাদেক ও তার ভাই কালাপুতিয়া।তারা নিরীহ রোহিঙ্গা এবং ক্যাম্প অভ্যন্তরে বসবাসরত স্থানীয়দের সাথে দাম্ভিকতার সুরে এসব কথা বলেন। হেডমাঝি সাদেকের বহুমুখী অপরাধ কর্মকান্ডে স্থানীয়রাও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সেই কুখ্যাত অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা হেডমাঝি সাদেক ক্যাম্প-৭ এর বি ব্লকে আশ্রিত রোহিঙ্গা। ক্যাম্পের ভিতরে বসবাসরত স্থানীয়দের জায়গা জবর দখল করে অন্য রোহিঙ্গাদের বিক্রি থেকে শুরু করে শালিস বাণিজ্য,মানবপাচারের কমিশন, ইয়াবা কারবার,অস্ত্র ব্যবসা,চাঁদাবাজি,
অপহরণ বাণিজের কমিশন,অস্ত্র চালনা প্রশিক্ষণ সহ সে করেনা এমন কোন অপরাধ নেই।থাকেন একেক সময় একেকটি সুড়ঙ্গের আদলে গড়ে তোলা ঘরে।রাত গভীরে সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের নিয়ে রুদ্ধদার বৈঠক করে থাকেন।সেই বৈঠকে অস্ত্র উঁচিয়ে কথা বলেন।তার অবৈধ কর্মকান্ডে স্থানীয়রা নয় শুধু, নিরীহ সাধারণ রোহিঙ্গারাও অতিষ্ঠ।কথায় কথায় অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখায় সে।হুমকি দেয় নিয়ে যাবে,লাশ পাবেনা।সাদেক মাঝি ও তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করলে প্রত্যাবাসন বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা ও বহু অপকর্মের তথ্য জানা যাবে।
তার হাতে,বার-বার নির্যাতনের শিকার হচ্ছে ক্যাম্প -৭ অভ্যন্তরে থাকা স্থানীয় পরিবার গুলোও। ক্যাম্প-৭ এর ভিতর দীর্ঘ ৩০ বছর পুর্ব থেকেই বসবাসরত মৃত আনুমিয়ার ছেলে নুরুজ্জামানের বসত ভিটির অংশ ও একটি দোকানগৃহ, ভিটায় পরিত্যক্ত স্কুল ঘর জবর দখল করে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের নিকট বিক্রির পায়ঁতারা চালিয়ে আসছিলেন বি ব্লকের আমির হোছন,তার ছেলে হেডমাঝি সাদেক ও সাইদুর কালাপুতিয়ার নেতৃত্বে আরোও ৬/৭ জন সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী।২ মে সকাল সাড়ে ৬ টায় সাদেক মাঝি,তার ভাই সাইদুর,বাবা আমির হোছন ও আরো ৬/৭ জন সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুরুজ্জামানের বসতভিটির জায়গা ও দোকানগৃহ দখল করতে গেলে তাদের বাধা দেন স্থানীয় যুবক উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের টিভি টাওয়ার সংলগ্ন তেলী পাড়ার বাসিন্দা মৃত আনুমিয়ার ছেলে নুরুজ্জামান। এতে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা তাকে ছুরিকাঘাত করে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম করেন।তাকে স্বাক্ষীরা উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেন।নুরুজ্জামান’কে প্রতিনিয়ত প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছেন সাদেক মাঝির বাহিনী।এ ঘটনায় নুরুজ্জামান বাদী হয়ে উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং ক্যাম্প-৭ সিআইসি বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: আরিফ হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা কর্তৃক একজন স্থানীয় যুবক মারধরের শিকার হয়েছে জেনেছি।লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ভুক্তভোগী নুরুজ্জামান ও এলাকাবাসীর অভিযোগ,দ্রুত সময়ে এসব রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অপহরণ পুর্বক বড় ধরণের প্রানহানীর ঘটনা ঘটাতে পারে,এমন আশংকা রয়েছে।