শ.ম.গফুর:
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নেমে আসা বর্জ্যে নষ্ট হচ্ছে পার্শ্ববর্তী কুতুপালং এলাকার ৫শত একরের বেশি জমির ধান ও শাক-সবজির ক্ষেত। স্থানীয়দের অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টিতে ক্যাম্পের নালা উপচে পড়ে।এতে ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ছে মানববর্জ্য।তাতে আছে প্লাস্টিক, পলিথিন ও মেডিকেল ব্যবহ্নত বর্জ্য। এতে নষ্ট হচ্ছে জমির ধান আর সবজি ক্ষেত সহ নানা প্রজাতির ঘরোয়া ফসল।অনেক জমিতে বর্জ্য জমে পঁচে যাচ্ছে ধান। এতে প্রতি বছর ফসল নষ্ট হয়ে জীবিকা হারাচ্ছেন স্থানীয় শত-শত কৃষক। কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যে উখিয়া উপজেলায় ৫শত একরের বেশি ফসলি জমি ও সবজি ক্ষেত-পালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এভাবে প্রতি বছর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যে চরম লোকসানে পড়তে হচ্ছে এখানকার কৃষকদের।
লম্বাশিয়া ও কুতুপালং পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা কৃষক রাশেদুল হক,রিদুয়ানুল হক,আহমদ উল্লাহ,আলী আহমদ,আবুল হাসেম সহ আরোও অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ধান চাষ করে আমরা জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে একবারও ভালো মতো ফসল ঘরে তুলতে পারিনি। একটু বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পের বর্জ্য এসে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য আসা বন্ধ ও খাল খননের দাবি করেন তারা।কুতুপালং এলাকার কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, চলতি মৌসুমে মাছকারিয়া বিলে আমি ৫ একর জমিতে ধান চাষ করেছি। ধান পাকতে শুরু করেছে। অথচ, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য ভেসে এসে সব তলিয়ে গেছে। একই অভিযোগ করে কৃষক আবদুল করিম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য আসা বন্ধ না হলে এলাকার কৃষকরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রশাসনকে জানিয়েও সমস্যার সমাধান কিংবা কৃষকদের ক্ষতিপূরণে কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি, জানান রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন।তিনি বলেন, আমাদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বর্জ্য আসা বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া ড্রেন নির্মাণ ও খালগুলো সংস্কার করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণের আওতায় আনতে হবে। বিষয়টি অবগত হয়েছেন বলে জানান, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের খালগুলো খনন ও সংস্কারের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ফান্ডিং করেছে। শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে। খালখনন হলে এ সমস্যার সমাধান মিলবে এমনটাই আশ্বস্থ করেন তিনি।