1. info@channelukhiya.com : চ্যানেল উখিয়া : চ্যানেল উখিয়া
  2. info@www.channelukhiya.com : চ্যানেল উখিয়া :
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
উখিয়ায় অস্ত্র ও ইয়াবাসহ চারজন আটক করেছে উখিয়া থানা পুলিশ সফল জনপ্রতিনিধি নুরুল আলম সওদাগর বালুখালী বাসীর আস্থা ও ভরসার ঠিকানা বিটিভি’র “নতুন কুঁড়ি ২০২৫”-এ উজ্জ্বল উখিয়ার তিন প্রতিভাবান শিক্ষার্থী কক্সবাজারে যুবলীগ নেত্রী সেফালীর প্রভাবশালী দালাল সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বালুখালীতে বিএনপি’র গণপ্রচারণায় ধানের শীষ প্রতীকের ভোট প্রার্থনা করে গণসংযোগ বালুখালীতে বিএনপি’র গণপ্রচারণায় ধানের শীষ প্রতীকের ভোট প্রার্থনা করে গণসংযোগ পালংখালী ইউনিয়ন শিবিরের সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতা ২০২৫ সম্পন্ন কক্সবাজার জেলা মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে মিকু বড়ুয়া প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখা দিলেন তৈয়বা উখিয়ার রোহিঙ্গা আব্দু রহিমের বেপরোয়া ইয়াবা কারবার , রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করে মানবিক করিডোর দেওয়া যেতে পারে-গফুর উদ্দিন চৌধুরী

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

 

শ.ম.গফুর:

সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ঘোষণা, তার মাঝে নতুন করে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আগমন,মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে করিডোর দেওয়া এবং দেশের ও কক্সবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে চ্যানেল উখিয়া’র মুখোমুখি হয়েছেন উখিয়ার এক সময়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের টানা ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদ্য নবগঠিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটি’র মহাসচিব গফুর উদ্দিন চৌধুরী। এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী’র বিভিন্ন প্রশ্ন ছুড়ে দেন চ্যানেল উখিয়া’র অতিথি প্রতিবেদক শ.ম.গফুর।

৩ মে দুপুরে এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতে
প্রশ্নোত্তরে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত নানা প্রাসঙ্গিক বক্তব্য তুলে ধরে এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন,
১৯৭৮ সাল থেকে পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারের সরকারের দমন পীড়নে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসা শুরু করেন।বিচ্ছিন্ন ভাবে রোহিঙ্গারা এদেশে আসলেও ১৯৭৮ সাল এবং ১৯৯১ সালেও বিপুল রোহিঙ্গা এদেশে পালিয়ে আসেন।তৎকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছায় সেই সময় রোহিঙ্গারা তাদের দেশ মিয়ানমারে ফেরাতে সক্ষম হয়।বিপুল রোহিঙ্গা তাদের দেশে ফিরলেও উখিয়া-টেকনাফের দুইটি রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পে নিবন্ধিত হয়ে অর্ধলাখের কম রোহিঙ্গার আশ্রয় জিইয়ে থাকে।
কিন্তু ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্টের রাত থেকেই রোহিঙ্গার ঢল শুরু হয় এপারে আসতে।মিয়ানমার জান্তা সরকারের দমন -পীড়নে বাস্তচ্যুত হয়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রিত হয় এদেশে।দীর্ঘদিন প্রচেষ্টার ফলেও এসব রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরাতে ব্যর্থ হয় আওয়ামীলীগ সরকার।এরিই মধ্যে গত বছরের ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে ড.মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতার ভার গ্রহণ করেন।ড.ইউনুসের প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসেন গত রমজানে।সাথে ড.ইউনুস সহ রোহিঙ্গাদের বিশাল একটি অংশের উপস্থিতিতে ইফতারে অংশ নেন।এ সময় রোহিঙ্গাদের আশ্বস্থ করেছিলেন রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফিরবে, আগামী বছর ঈদের নামায সেখানে আদায় করবে।এতে খুশিতে মজেছিল রোহিঙ্গারা।সম্প্রতি সময় প্রথম দফায় ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেবে এমন সংবাদ ব্যাপক প্রচার পায়।
কিন্তু বিধিবাম ১লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গার শিগগিরই প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে ঘোষণা দেওয়ার এক সপ্তাহ না পেরুতেই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকছে। ইউএনএইচসিআর গত সপ্তাহে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়কে চিঠি দিয়ে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানিয়েছে। জাতিসংঘের পক্ষ হতে অনুরোধ করা হয়েছে আরো লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দেওয়ার জন্য। এটা খুব উদ্বেগজনক।এটি কক্সবাজার বাসির জন্য দু:সংবাদ বলা যায়।তিনি আরো বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন একটা আন্তর্জাতিক বিষয়। সেই হিসেবে আমরা চাই দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হোক। রোহিঙ্গারা যাতে সেখানে গিয়ে তাদের পৈত্রিক ভিটা, বসবাসের জায়গা ও অধিকার ফিরে পায়, কৃষি জমি যাতে ফিরে পায়, অবাধে যাতে তারা নাগরিক সুবিধা ফিরে পায়,সে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেহেতু প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিব আমাদেরকে সু-বার্তা দিয়েছেন, চীন সরকার ও জাতিসংঘের মাধ্যমে এইটা হওয়া ভালো। কিন্তু এটা কতটুকু হবে, আমাদের মধ্যে এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।
এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সরকার যদি হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, মানবিক করিডোর’ দেওয়ার, তবে এই সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হতে পারে।রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়েই মানবিক করিডোর চালু করা যেতে পারে। তার উল্টো হলে, এটা দেশবাসী ও উখিয়া-টেকনাফের জনগন কখনো মেনে নিবে না। সরকার এত বড় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্থানীয় প্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদের সাথে পরামর্শ করতে হবে। আমরা এমনিতেই রোহিঙ্গাদের নিয়ে নানা সমস্যায় জর্জরিত, নতুন করে কোনো সমস্যায় পড়তে চাই না। সীমান্তে মাদক চোরাচালান, গরু চোরাচালান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ,এসব বিষয়ে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। বিজিবি যদি কঠোর হয়, তাহলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কখনো সম্ভব হবে না।

‘মিয়ানমার থেকে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসী চক্রের তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের ওপর পশ্চিমা বিশ্বের চাপানো বিষফোড়ার নাম ‘রোহিঙ্গা’। জাতিসংঘ ও বিশ্বমোড়লদের অনুরোধের ঢেঁকি গিলে ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশ। গত প্রায় সাড়ে ৭ বছরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রতিবেশী দেশের এ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা আশ্রয়দাতাদের প্রতি শুধু কৃতঘ্নতার পরিচয় দিয়েই চলছে। এই রোহিঙ্গার সংখ্যা তড়িৎ গতিতে বাড়ছে।যা বর্তমানে ১৫ লাখের বেশী হতে পারে।সেসব রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে মাদক আগ্রাসনের বাহকের ভূমিকা পালন করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় একাধিক সশস্ত্র গ্রুপ ভয়ংকর হয়ে উঠছে। তুচ্ছ ঘটনায় একপক্ষ অন্যপক্ষকে খুন করতে দ্বিধা করে না। ঠিক কবে রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে বা আদৌ তারা ফিরতে পারবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরী হয়েছে,যা দ্রুত জোরদার হচ্ছে।
তিনি আরোও বলেন,রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আন্দোলন আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে দেশ বরেণ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী উপদেষ্টা পরিষদ ও যোগ্য নেতৃত্বের সমন্বয়ে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হবে। সেই সাথে কক্সবাজার জেলা উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা, বান্দরবান জেলা ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি পুনর্গঠন করা হবে। ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর উপলক্ষে খ্যাতিমান গবেষক, রাষ্ট্র চিন্তক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও বিশিষ্টজনদের লেখা ও বাণী নিয়ে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম জাতীয় কমিটি আগামীতে রাজধানী থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে আন্দোলন করবে।সেই আন্দোলনে স্থানীয় জনগোষ্ঠী’কে শামিল হওয়ার আহবান জানিয়ে তাদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট