আবু তাহের আজাদ, উখিয়া
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ সড়কে ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে যত্রতত্র ঘটছে দুর্ঘটনা।এসব দুর্ঘটনায় বহু প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে।আহত হয়েছে অনেকেই।প্রাণহানীর ঘটনায় অধিকাংশ শিশু আর বৃদ্ধ।
ক্যাম্প অভ্যন্তরে বেশীর ভাগী গাড়ী এনজিও মালবাহী ও এনজিওকর্মী বাহী গাড়ী।এনজিও সংস্থার সাইট নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত বাঁশের ট্রাক গাড়ি সবচেয়ে বেশী ঝুকিপূর্ণ মাল বোঝায় করে ডুকে পড়ছে ক্যাম্পে।ক্যাম্পে প্রবেশের সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান( ১৪ এপিবিএন)'র চেকপোস্টে সিএনজি মিনিটম, ডাম্প ট্রাক প্রবেশের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়।অথচ কাগজপত্র ছাড়াও বিভিন্ন প্রকার গাড়ী প্রবেশ বিধিনিষেধ নেই,তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়াত ব্যবস্থায় তেমন কোন নিরাপত্তা নেই। রাস্তার দু"পাশে রোহিঙ্গা বসতি নির্মাণ করায় অ"নিরাপদ ভাবে তারা বসবাস করছে বলে জানান, বসবাসরত কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থী। ক্যাম্পে বসবাসরত বসতি রাস্তার পাশে হওয়ায় শিশুরা রাস্তার পাশে খেলতে আসে। এ নিয়ে প্রায় সময় মা-বাবা দুশ্চিন্তায় থাকেন বছরে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
নিরাপদ পরিবহনের জন্য প্রশস্থ রাস্তার প্রয়োজন।কিন্তু দু'পাশে রোহিঙ্গার বসতি থাকায় সংকুচিত সড়কে ভারী গাড়ী চলাচলের কারণেই দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেশী।
এ বিষয়ে কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড শরনার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গা তরুণ ইউনুস আরমান জানান,কুতুপালং তথা বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভারি যানচলাচল বন্ধ করা জরুরি। বেপরোয়া ড্রাইভিং, অদক্ষ চালক দ্বারা অনেক সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে পথ-শিশু সহ বয়োবৃদ্ধ রোহিঙ্গারা।কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বহু দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান সে।
এই ব্যাপারে রাজাপালং ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পে ভারি যানচলাচল বন্ধ করা জরুরি।দুইপাশে রোহিঙ্গাদের বস্তি থাকায় রাস্তার প্রশস্থ ক্ষুদ্র হোয়ায় দুর্ঘটনার শংকা রয়েছে।
এ বিষয়ে ১৪ এপিবিএন'র সহ-অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) সুদীপ্ত রায় বলেন, বাঁশ ভর্তি কোন ট্রাক ক্যাম্পে প্রবেশ করলে অনুমতি প্রয়োজন হয়। অনুমতিবিহীন কোন ট্রাক ক্যাম্পে ঢুকলে আমরা আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।