1. info@channelukhiya.com : চ্যানেল উখিয়া : চ্যানেল উখিয়া
  2. info@www.channelukhiya.com : চ্যানেল উখিয়া :
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
উখিয়ায় শাহজাহান হত্যা মামলায় বাণিজ্য:বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তার যোগসাজশে ৩ আসামী বাদ! নারায়ণগঞ্জের ঠিকানায় এনআইডি কার্ড : পাসপোর্ট ও রয়েছে রোহিঙ্গা যুবকের ‘ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা অতি বৃষ্টিতে ঘুমধুম ইউনিয়নের প্রধান সড়কের বেহাল দশা!যাত্রীদের দুর্ভোগ:রয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চাকরিচ্যুত স্থানীয় শিক্ষকদের দ্বিতীয় দিনের অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচী উখিয়া উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা কুতুপালংয়ের ইলিয়াছ সওদাগরের মৃত্যুতে সীমান্ত লেখক ফোরামের শোকবার্তা কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে আসছে গরু: নিরাপদ সড়ক ঘুমধুম! উখিয়া বিজিবির অভিযানে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার, মাদক কারবারি আটক উখিয়ায় মোবাইল কোর্ট: রোহিঙ্গা সহায়তা সামগ্রী পাচার রোধে চারজনকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা

আজ পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস : বন্ধ নেই শিশু শ্রম!

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

 

শ.ম.গফুর:

ফাগুনের আগুনে প্রোজ্জ্বল আজ পহেলা মে,আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস।এটি মে দিবস নামেও পরিচিত। মে মাসের প্রথম দিনটি মে দিবস পরিচয়ে পৃথিবীর বহু দেশে পালিত হয়। বেশকিছু দেশে মে দিবসকে ‘লেবার ডে’ হিসাবে পালন করা হয়। এদিনটি সরকারীভাবে ছুটির দিন। ১৮৮৬ সালের ১লা মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে ৮ ঘণ্টা শ্রমদিনের দাবীতে আন্দোলন রত শ্রমিকের ওপর গুলি চালানো হয়।এতে ১১ জন শ্রমিক শহীদ হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় দিনটি পালিত হয় না। এ ছাড়া এইদিনে আরও কিছু ঘটনা রয়েছে,যা আঞ্চলিক ভাবে হয়তো পালিত হয়।শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া আদায়ের বহু সংগঠন রয়েছে।কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে,বিভিন্ন শিল্পকারখানায় আশংকাজনক হারে বেড়েছে শিশু শ্রম।শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে আইন আছে,কিন্তু সুষ্ঠু প্রয়োগ নেই।
পূর্বে শ্রমিকদের অমানবিক পরিশ্রম করতে হতো। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা আর সপ্তাহে ৬ দিন। বিপরীতে মজুরী মিলত নগণ্য, শ্রমিকরা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করতো। ক্ষেত্রবিশেষে তা দাসবৃত্তির পর্যায়ে পড়তো। ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের একদল শ্রমিক দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করার জন্য আন্দোলন শুরু করেন। তাদের এ দাবী কার্যকর করার জন্য তারা সময় বেঁধে দেয় ১৮৮৬ সালের ১লা মে। কিন্তু কারখানার মালিকগণ এ দাবী মেনে নিল না। ৪ঠা মে ১৮৮৬ সালে সন্ধ্যাবেলা হালকা বৃষ্টির মধ্যে শিকাগোর হে-মার্কেট নামক এক বাণিজ্যিক এলাকায় শ্রমিকগণ মিছিলের উদ্দেশ্যে জড়ো হন। তারা ১৮৭২ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত এক বিশাল শ্রমিক শোভাযাত্রার সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে এটি করেছিলেন। আগস্ট স্পীজ নামে এক নেতা জড়ো হওয়া শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলছিলেন। হঠাৎ দূরে দাড়ানো পুলিশ দলের কাছে এক বোমার বিস্ফোরন ঘটে, এতে এক পুলিশ নিহত হয়। পুলিশবাহিনী তৎক্ষনাত শ্রমিকদের উপর অতর্কিতে হামলা শুরু করে যা রায়টের রূপ নেয়। তখন রায়টে ১১ জন শ্রমিক শহীদ হন। পুলিশ হত্যা মামলায় আগস্ট স্পীজ সহ ৮জনকে অভিযুক্ত করেন। এক প্রহসনমূলক বিচারের পর ১৮৮৭ সালের ১১ই নভেম্বর উন্মুক্ত স্থানে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। লুইস লিং নামে একজন একদিন পূর্বেই কারাভ্যন্তরে আত্মহত্যা করেন, অন্য একজনের পনের বছরের কারাদন্ড হয়। ফাঁসির মঞ্চে আরোহনের পূর্বে আগস্ট স্পীজ বলেছিলেন, “আজ আমাদের এই নি:শব্দতা, তোমাদের আওয়াজ অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী হবে’। ২৬শে জুন, ১৮৯৩ ইলিনয়ের গভর্ণর অভিযুক্ত ৮জনকেই নিরপরাধ বলে ঘোষণা দেন, এবং রায়টের হুকুম প্রদানকারী পুলিশের কমান্ডারকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। আর অজ্ঞাত সেই বোমা বিস্ফোরণকারীর পরিচয় কখনোই প্রকাশ পায়নি।
শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের “দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার” দাবী অফিসিয়াল স্বীকৃতি পায়। আর পহেলা মে বা মে দিবস প্রতিষ্ঠা পায় শ্রমিকদের দাবী আদায়ের দিন হিসেবে, পৃথিবীব্যাপী আজও দিনটি পালিত হয়ে আসছে।

শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলনের উক্ত গৌরবময় অধ্যায়কে স্মরণ করে ১৯৮০ সাল থেকে প্রতি বছরের ১লা মে বিশ্বব্যাপী পালন হয়ে আসছে “মে দিবস” বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস”। পহেলা মে সেই আন্দোলনের কথাই আমাদের স্বরণ করিয়ে দেয়। ১৮৯০ সালের ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যালিষ্ট কংগ্রেসে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষনা করা হয়। তখন থেকে বহু দেশে দিনটি শ্রমিক শ্রেনী কর্তৃক উদযাপিত হয়ে আসছে। রাশিয়াসহ পরবর্তীকালে আরো কয়েকটি দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটিত হবার পর মে দিবস এক বিশেষ তাৎপর্য অর্জন করে। জাতিসংঘে একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শাখা হিসাবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (অরগানাইজেশন বা আই .ত্রল.ও) প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার সমূহ স্বীকৃতি লাভ করে, যা সকল দেশে শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের তা মেনে চলার আহবান জানায়। এভাবে শ্রমিক ও মালিকদের অধিকার সংরক্ষণ করে। বাংলাদেশ আই.এল.ও কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শ্রমিক শ্রেনীর প্রাধান্যের কারনে অধিকাংশ সমাজতান্ত্রিক দেশে বেশ গুরুত্বও সংকল্প সহকারে মে দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশে মে দিবসে সরকারি ছুটি পালিত হয়। এখানে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে মে দিবস পালন হয় ।

মে দিবস দেশব্যাপী পালন করবে।সরকার প্রধান দিন’টি উপলক্ষ্য করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পালন করা হবে।দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক,সাংস্কৃতিক, ও শ্রমজীবি সংগঠন গুরুত্ব সহকারে দিনটি পালনে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। তেমনি কক্সবাজারে বিএনপি ও শ্রমিকদল,জামায়াতের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, জেলার পরিবহণ শ্রমিক,হোটেল শ্রমিক,দোকান কর্মচারী শ্রমিক সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করবে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট