মোঃ মামুন, উখিয়া :
উখিয়ায় ফের বেড়েছে মাদক কারবার।
গত ১১ এপ্রিল কোস্টগার্ড ও র্যাব -১৫ এর যৌথ অভিযানে ৫ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে এবং ২১ জন আসামী গ্রেফতার করে। তবে লেবার গুলো আটক হলেও আটক হচ্ছে না গডফাদাররা। ফলে মাদক কারবার বন্ধ হচ্ছে না।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, থাইংখালী – বালুখালী কেন্দ্রীক নতুন-পুরাতন মাদকের অসংখ্য সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়েছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কারবারিরা রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত ওপার থেকে এপারে মাদক ডুকাচ্ছে।
ধামনখালী ও রহমতের বিলসীমান্তে একাধিক মাদক কারবারি সিন্ডিকেটের তথ্য উঠে এসেছে। সীমান্ত কেন্দ্রীক বাড়ি হওয়ার সুবাধে তারা অনায়সে এ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে।
প্রশাসন কঠোর থাকার পরেও রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে সীমান্তের কারবারিরা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এসব কারবারিদের মধ্যে গডফাদার হিসাবে কাজ করছে মোহাম্মদ মনির তার ভাই সাইফুল প্রকাশ (সাইপা)সহ একাধিক সিন্ডিকেটের নাম শুনা গেছে এলাকাবাসীর কাছে।
জানাগেছে, মনিরুল ইসলাম (৩৮) ওই এলাকার জবর মুল্লুকের ছেলে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত শীর্ষ ইয়াবা কারবারি মোস্তাক ও মোক্তারের আপন ছোট ভাই । বর্তমানে সে “একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাঠকর্মী হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। সে ওই চাকরির আড়ালে মায়ানমারের কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি রোহিঙ্গা নবী হোসেনের আঁতাত করে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা কারবার করে আসছিলো। বিভিন্ন সময় তার মাদকের চালান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ায় বিভিন্ন মামলার আসামি হলেও পার পেয়ে যায় সে। হত্যা মামলা ও মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকায় বর্তমানে চাকরি থেকে মনির’কে ওএসডি অবস্থায় রাখা হয়েছে বলেও জানা যায়। বর্তমানে তার মাদক ও হত্যা মামলা চলমান রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, মনিরের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম প্রকাশ (সাইপ্পা) বছর দেড়এক আগে বার্মাইয়া নবী হোসেনের সাথে আঁতাত করে বিভিন্ন অপকর্ম ও মাদক এবং স্বর্ণ চালান নির্বিঘ্নে করতে নবী হোসেনের ডেরায় থাকতো। সেই সুবাধে মনির সুযোগ পেয়ে এসব কাজে জড়িয়ে পড়েন।
গত ১০ এপ্রিল রাত ৩ টার দিকে মিয়ানমাের রেঙ্গুন থেকে ২ লাখ ইয়াবা জামাই মোস্তাফাকে পাটালে ১লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা গায়েব করে দে মনির এমন অভিযোগ স্হানীয়দের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয় যুবক জানান, বহুদিন ধরে মনির ইয়াবার সাথে জড়িত মনিরের ইয়াবা লুটপাটের ঘটনা লোক মুখে শুনা যাচ্ছে।
মনিরের বোনের জামাই বক্তার আহাম্মদ কয়েকমাস আগে র্যাব -১৫ হাতে ইয়াবাসহ আটক হয় সেই এখনো জেলহাজতে রয়েছে।
১৫ এপ্রিল সকাল ৮ টার দিকে মনির ও তার ছোট ভাই সাইফুল প্রকাশ ( সাইপ্পা) উত্তর রহমতের বিল এলকায় নুরুল আলমের ছেলে উখিয়া কলেজের ছাত্র ইকবাল হাসানের উপর হামলা করেন। এতে ইকবাল হাসান গুরুতর আহত হলে স্হানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এই ব্যাপারে উখিয়া থানার একটি অভিযোগ দায়ের করেন ইকবাল হাসান ।
মনিরের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম প্রকাশ (সাইপা),ইকবাল হাসানের ব্যবহারের একটি এন্ড্রয়েট মোবাইল প্যান্টের পকেট হইতে নগদ ৩৫ হাজার টাকা নিয়া ফেলে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে জানতে মনিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এইটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
এ বিষয়ে জানতে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফ হোসেন জানান, মনিরের ইয়াবা লুটপাটের ঘটনায় আবগত নাই ।
তবে মাদক কারবারে যাকে সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাকেই আইনের আওতায় আসতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে জোরদার রয়েছে। নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে।